পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনার খবর জানার পর ফাঁপরে পড়েছে ফুলবাগান থানা। পরিবার প্রথমে বিষয়টি জানায়নি। ফ্ল্যাটের অন্যদের থেকে পুলিস সেকথা জানতে পারে। রামকিশোরবাবুর পরিবারকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তখন তাঁরা স্বীকার করেন। এ নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অফিসাররা। যে পুলিস কর্মীরা দেহটি তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন, তাঁদের কোনও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
এই আবাসনের তিনতলায় থাকতেন রামকিশোরবাবু। তাঁর দুই ছেলে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। তিনি এজেসি বোস রোডে একটি সিরামিক সংস্থায় কাজ করতেন। তাঁর আত্মীয় রাজেশ গুপ্তা জানিয়েছেন, জুলাই মাসের শেষদিকে রামকিশোরের করোনা ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতেই সেলফ আইসোলেশনে থাকতে বলেন। সেইমতো তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর স্ত্রীও করোনা পজিটিভ।
পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান ছিল ফ্ল্যাটে। রাত ১টা পর্যন্ত পুজোপাট চলে। এরপর বাড়ির সকলেই যে যাঁর ঘরে ঘুমোতে যান। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিস জেনেছে, ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ লিফটি তিনতলায় আসে। রামকিশোরবাবুকে ওই লিফটে উঠতে দেখা যায়। উঠে যান ছাদে। ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ আবাসনের এক বাসিন্দা ছাদে যান। কিন্তু তিনি রামকিশোরবাবুকে সেখানে দেখতে পাননি। অনুমান করা হচ্ছে, ওই সময়ের মধ্যেই যা হওয়ার হয়েছে। তবে এটি আত্মহত্যা, নাকি দুর্ঘটনা—তা স্পষ্ট নয়। ভোরের দিকে তাঁকে আবাসনের পিছনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা।
তাঁর পরিবার পুলিসকে জানিয়েছে, মাস সাতেক আগে তিনি মানিকতলা এলাকায় দু’ কোটি টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন। কিন্তু এখনও অবধি সেই ফ্ল্যাটের দখল পাননি। এ নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ছিলেন। আত্মহত্যা করে থাকলে এটি একটি কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন অফিসাররা। পারিবারিক কোনও বিবাদ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।