কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
যেখানে মহড়া চলছিল, সেখানে আগে থেকেই পুলিস গার্ড রেল লাগিয়ে দেওয়ায় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা মারার পর কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা গিয়ে গাড়িটি ধরে ফেলেন। চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, সম্পত্তি নষ্ট সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁকে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অরিত্রর বাড়ি বালিগঞ্জের বন্ডেল রোডে। তিনি ভুবনেশ্বরে একটি কলেজে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। লকডাউনে কলেজ বন্ধ থাকায় তিনি এখন কলকাতায় বাড়িতে ছিলেন। এদিন সকালে মায়ের গাড়ি নিয়ে ‘জয়রাইড’-এ বের হন অরিত্র। কলকাতা চষে বাড়ি ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা। তাঁর নীল রঙের সেডান গাড়িটি খিদিরপুর রোড ধরে রেড রোডের দিকে আসছিল। গাড়ির গতি যথেষ্ট বেশি ছিল। রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের জন্য তখন মহড়া চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শী এক পুলিস কর্মীর কথায়, অতীতের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই রেড রোডে গার্ড রেল লাগানো হয়েছিল। এমনভাবে লাগানো হয়েছিল, যাতে কোনও গাড়ি তা ভেঙে ঢুকতে না পারে। হঠাৎই নজরে আসে, একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে আসছে। চিৎকার করে গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করলেও চালক তাতে কর্ণপাত করেননি। ফোর্ট উইলিয়ামের কাছে জে কে আইল্যান্ডের সামনে এসে গাড়িটি সরাসরি গার্ড রেলে ধাক্কা মারে। সেখানে ধাক্কা মারার আগে গাড়িটি একটি বাসকেও ধাক্কা মেরেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।
তদন্তে জানা গিয়েছে, গাড়িটি অরিত্রর মায়ের নামে রয়েছে। ২০১৮ সালে কেনা। আট মাস আগে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পান অরিত্র। গাড়ির গতি কত ছিল, তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। হবে মেকানিক্যাল পরীক্ষাও।