পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার মূল রাস্তার ডানদিকে একটি বিশাল জমিতে রেলের এই আবাসনগুলি তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। যেগুলি জবরদখলমুক্ত করে এবং ভেঙে নতুনভাবে না গড়লে কিছুই করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। ডেঙ্গুর আশঙ্কায় পুরসভার তরফে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বিমল সাহা বলেন, গত মরশুমে চিঠি দিয়ে আমরা রেলকে আবেদন করেছিলাম আবাসনগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে। কিন্তু ওরা কিছুই করেনি। বাধ্য হয়ে আমরাই পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম। তাই এবার আমরা চিঠি দিয়ে বলছি, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কারণ তাদের সম্পত্তির জন্য এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়বেন, তা হতে দেওয়া যাবে না। ওই আবাসনগুলির যা অবস্থা, তাতে করোনার সঙ্গে ডেঙ্গুও মহামারীর আকার নিতে পারে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী অবশ্য আশার কথাই শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, পুরসভার তরফ থেকে কোনও অভিযোগ এলে আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও যা করার করা হবে।
এদিকে ওই আবাসনগুলিতে গিয়ে দেখা গেল, বেশ কয়েকটি পরিবার বিপজ্জনক অবস্থায় বসবাস করছে। চারপাশে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত পাত্রে বর্ষার জলে মশার লার্ভা জমে রয়েছে। আবর্জনার স্তূপ দেখে বোঝা গেল সাফাইকাজ প্রায় হয় না বললেই চলে। করোনা পরিস্থিতিতেও নেই কারও মুখে মাস্ক।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পুর এলাকায় ৪৪০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেই সব থেকে বেশি ৮৭ জন আক্রান্ত হন। এই আবাসনগুলি ওই ওয়ার্ডেই অবস্থিত। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের কথায়, ওই আবাসনে ১৬টি করে মোট ৮০টি ফ্ল্যাট তৈরি হয়। পরে একটি আবাসন ভেঙে দেওয়ায় এখন চারটি আবাসনে ৬৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যদিও সেগুলির মধ্যে ১৫-২০টি ফ্ল্যাটে লোক থাকে। গত বছর আমরাগিয়ে দেখি, ওই আবাসনগুলি থেকেই ডেঙ্গু রোগবাহী মশার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। সেকারণেই এই বছর ওই আবাসনগুলির উপরে বিশেষ নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যদিও করোনার জেরে তা স্থগিত হয়ে যায়। এবার ফের নতুন করে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।