পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সন্তোষ সিং বলেন, রাজ্য সরকার বরাবরই শ্রীরামপুরবাসীর জন্যে নানা প্রকল্প দিয়েছে। গঙ্গার পাড় আধুনিক কায়দায় সাজানোর প্রকল্পও সরকারের কাছে পাঠানো হচ্ছে। গঙ্গার ধারে মুক্তমঞ্চ সহ আরও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা রাখব। বাসিন্দারা অন্য ধরনের পরিষেবা পাবেন। আবার কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
চন্দননগরের স্ট্যান্ড রোড জেলার মানুষের কাছে লোভনীয় গন্তব্য। শ্রীরামপুরের একপাশ ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে গঙ্গা। এই সুবিধাকেই কাজে লাগাতে তৎপর হয়েছে পুরসভা। কিছুটা কলকাতা আর কিছুটা চন্দননগরের মডেলকে সামনে রেখেই শ্রীরামপুর পুরসভা গঙ্গাপাড়কে সাজাতে চাইছে। এমনিতেই মুক্ত বাতাস, মনোরম পরিবেশের কারণে সকাল-সন্ধ্যা গঙ্গাপাড়ের মানুষ ভিড় জমান। পুরসভার দাবি, ওই আরও বেশি পরিষেবা দিতেই নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
শ্রীরামপুরের টেক্সটাইল কলেজ থেকে রায়ঘাট পর্যন্ত এলাকাকে সৌন্দর্যায়নের জন্যে বাছা হয়েছে। প্রায় দুই কিমি ওই এলাকায় গঙ্গার ধার ধারে সুদৃশ রেলিং বসানো হবে। তার পেছনে থাকবে একফালি বাগান। জায়গায় জায়গায় বসানো হবে বাতিস্তম্ভ। কলকাতার প্রকৃতিতীর্থের আদলে থাকলে নতুন কায়দার বসার জায়গা। একটি ঝরনা তৈরি করা হবে। সেখানে মাছ রাখার পরিকল্পনাও পুরসভার আছে। ভোরবেলা যাঁরা হাঁটতে বের হন, তাঁদের জন্যে থাকবে বিশেষ ধরনের হাঁটার জায়গা। প্রকল্পে রাখা হয়েছে যোগকেন্দ্র ও মুক্ত জিম। সাইকেল চালানোর জন্যে বিশেষ ট্র্যাক রাখা হবে। শিল্পপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে একটি মুক্তমঞ্চও করা হবে।
এই সমস্ত কিছুই বাসিন্দারা প্রায় নিখরচায় উপভোগ করতে পারবেন। দৃশ্যসুখের সঙ্গে থাকবে পেটপুজোর আয়োজনও। তাই প্রকল্পে রাখা হয়েছে একাধিক ক্যাফেটেরিয়া। পুরসভা নিজে বা পিপিপি মডেলে সেগুলি পরিচালনা করবে। এতে কর্মসংস্থান
যেমন হবে তেমনি স্থানীয় বেকাররাও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। সবমিলিয়ে ওই মেগা প্রকল্প শ্রীরামপুরের গঙ্গাতীরকে একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত করবে বলে পুরকর্তাদের দাবি।