পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লেক রোডের বাসিন্দা এক মধ্যবয়স্ক বলেন, সরোবরের চেহারা দেখে খারাপ লাগল। গত মাস থেকে একই অবস্থা দেখছি। মাঝে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এভাবে জল জমে যাচ্ছে যে জলাশয়ের ধার দিয়ে যাওয়া দূরের কথা, মূল রাস্তা দিয়েও হাঁটা দায়। লেকের ভিতরে কমবেশি সব হাঁটাপথের এক অবস্থা। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রাতঃভ্রমণে আসা ঢাকুরিয়ার এক বাসিন্দা বলেন, গত কয়েকদিন বৃষ্টিতে ভেতরে জল জমে একাকার অবস্থা। প্রথম দিন গিয়ে ঘুরে চলে এসেছি, তারপর আর যায়নি। কয়েক সপ্তাহ আগেও যখন টানা বৃষ্টি হয়েছিল একই রকম ছিল। রাসবিহারীর বাসিন্দা, প্রায় রোজ প্রাতঃভ্রমণে আসা পরিবেশকর্মী সৌমেন্দ্রমোহন ঘোষের কথায়, ঘূর্ণিঝড়ের আড়াই মাস পরেও কর্তৃপক্ষ পরিষ্কারের কাজ করে উঠতে পারেনি। ভিতরে ছোট ডালপালা ডাঁই করে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বসার জায়গাগুলি ভাঙা। একটু বৃষ্টিতে জল জমে কার্যত একাকার অবস্থা। এসব আবর্জনায় জল জমে আরও মশার উৎপাত বেশি হয়েছে।
ভিতরে ঠিকঠাক নিকাশির কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ তাঁর। কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভা একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁর।যদিও পুরসভার দাবি, রবীন্দ্র সরোবর কেএমডিএ’র অধীনে। তবে সরোবরের আশপাশের নিকাশি নালা পরিষ্কার রাখা হয়েছে। জল বেরিয়ে যাওয়ার কথা। অন্যদিকে, কেএমডিএ সূত্রে খবর, সরোবরে পরিষ্কার করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই একাধিক ভেঙে পড়া গাছ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে ছোট ডালপালার আবর্জনা সরানোর কাজ চলছে। চলতি পরিস্থিতিতে লোকের অভাব। তবে, দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে আসবে রবীন্দ্র সরোবর, আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।