গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তারকেশ্বরের এরকমই বেশ কয়েকজন থিম মেকার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গাপুজো সহ অন্যান্য পুজোর পরিকল্পনা করেন। তাঁদের একেকজনের কাছে প্রায় ৪০ জন করে শিল্পী কাজ করেন। বাঁশ, মাটি, কাঠ, সুতোর কাজ করা গ্রামের এই শিল্পীরা কয়েক মাস কাজ করে অতিরিক্ত দু’পয়সা রোজগার করেন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সচেতনতার বার্তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয় মণ্ডপে। পুজোর প্রায় তিন-চার মাস আগেই শুরু হয় মণ্ডপ তৈরির কাজ।
তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার থিম শিল্পী কণিষ্ক মাইতি বলেন, দুর্গাপুজোয় খানাকুলে কাজ ছিল, উদ্যোক্তারা সেই কাজ বাতিল করেছেন। অসমের একটি পুজো কমিটি পরে যোগাযোগ করবে বলছে। আমার কাছে প্রায় ৪০ জন শিল্পী কাজ করেন। এখন পরপর কাজ বাতিল হওয়ায় পুজো শুরুর আগেই শিল্পীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। থিম শিল্পীরা দক্ষতা ও কাজ অনুসারে ৬০০-১২০০ টাকা দিনপ্রতি মজুরি পান। দিনে দুটো শিফটে কাজ হয়। একজন শিল্পী ৪০-৭০ হাজার টাকা উপার্জন করেন একটি মরশুমে।
চাঁপাডাঙা হাইস্কুল পাড়া দুর্গোৎসব কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, ৩৮ বছরে পদার্পণ করল আমাদের পুজো। ইচ্ছা থাকলেও এই বছর জাঁকজমকপূর্ণ পুজো করা অসম্ভব। থিম পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। কোনওরকমে ছোট করে পুজো হবে। বাজেটের কিছু অংশ দিয়ে দুঃস্থদের সহযোগিতা করার পরিকল্পনা রয়েছে। থিম মেকাররা জানান, প্রায় প্রতিটি বড় পুজো কমিটির সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা যুক্ত। মহামারীর সময় জাঁকজমকপূর্ণ পুজো করার ক্ষমতা থাকলেও অনেকেই পিছিয়ে আসছেন। শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বেশিরভাগ উদ্যোক্তা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।