উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
পুরসভার তথ্য বলছে, ২০০৯-১০ সাল থেকে ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত, এই পাঁচ বছরে শহরের ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা থেকে মোট পলি তোলার পরিমাণ ছিল ১,৮২,৫০০ মেট্রিক টন। সেখানে গত ৬ বছরে (২০১৪-১৫ থেকে ২০১৯-২০) পলি তোলার পরিমাণ প্রায় চার গুণ বেড়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত যার পরিমাণ প্রায় ৭,৩০,০০০ মেট্রিক টন। ফলে, চলতি বছরে যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টিতেও শহরের রাজপথ বা অলিগলিতে অস্বাভাবিক জমা জলের সমস্যা এড়ানো গিয়েছে বলেই মত পুরকর্তাদের। বিশেষত, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বড়বাজারের রাস্তা, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া চত্বরে জল জমলেও ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তা নেমে গিয়েছে। অথচ এই এলাকাগুলিতেই আগে কখনও কখনও দিন দুয়েক ধরেও জমা জলের দুর্ভোগ পোহাতে হতো নাগরিককে। অন্যদিকে, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এসএন ব্যানার্জি রোড, কলেজ স্ট্রিট সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমার সমস্যা হয়নি চলতি মরশুমে। তবে বেহালার কিছু অংশ, খিদিরপুর, ওয়াটগঞ্জ, মোমিনপুর অবশ্য বিক্ষিপ্তভাবে জলমগ্ন থেকেছে। বিশেষ করে তারাতলা রোড, জোকা মহাত্মা গান্ধী রোড সহ শহরের বেশ কিছু খানাখন্দে ভরা রাস্তায় জল জমে যান চলাচলে অসুবিধা হয়েছে। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিং বলেন, বন্দর অঞ্চলে দু’টি নিকাশির কাজ চলছে। একটি ভূকৈলাসে বক্স ড্রেন তৈরি। এবং দ্বিতীয়টি ডেন্ট মিশনে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা। তৈরি হচ্ছে নতুন পাম্পিং স্টেশনও। সেই কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে। ফলে আগামী বছর থেকে খিদিরপুর, মোমিনপুর, ওয়াটগঞ্জ সহ ওই অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে জমা জলের দুর্ভোগ মিটবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তারকবাবু। উল্লেখ্য, দুর্যোগে ভাসছে মুম্বই। বন্যার গ্রাসে পড়শি দেশের শহর করাচিও। তুলনায় শহর কলকাতায় জমা জলের সমস্যা কিছুটা সামলানো গিয়েছে। যদিও আত্মতুষ্টিতে নারাজ নিকাশি বিভাগের কর্তারা। এক আধিকারিক বলেন, মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হলে জল জমবে। কিন্তু, আগে যেখানে বিভিন্ন জায়গায় পাঁচ-ছয় দিন ধরে জল জমে থাকত, সেখানে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জল নামানো সম্ভব হচ্ছে। এটা নিরন্তর প্রয়াস। হাত গুটিয়ে বসে থাকার কোনও জায়গা নেই।