উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
ধাবার জখম কর্মচারী আব্দুল লতিফ বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে তিন-চারজন লোক এসে কিছু খাবার অর্ডার দেয়। তারা মদ খেয়েই এসেছিল। তারপর দাম মেটানো নিয়ে মালিকের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়। ওরা ফোন করে নানা জায়গায়। তারপর ১০-১২ জনের একটা দল বাইকে চেপে আসে। এসেই তারা ভাঙচুর ও মারধর শুরু করে দেয়। ধাবার মালিক স্বপন দাস ঘটনার সময় ক্যাশ কাউন্টারে ছিলেন। সেখানে চার-পাঁচজন ঢুকে গিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করে। স্বপনবাবু জানালেন, একজন ছুরি বার করে তাঁকে মারতে এলে তিনি কোনওভাবে তার হাতটা ধরে নেন। তা নাহলে খুন হয়ে যেতে পারতেন। রাতেই ফোন করে ঘটনা জানানো হয় ডোমজুড় থানায়। ওই থানার এক পদস্থ কর্তা জানান, শুক্রবার সকালেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে বাঁকড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের নাম পুলিস বলেনি। এই নিয়ে আর তেমন কোনও মন্তব্যও করতে চায়নি পুলিস।
এদিকে রাতে এমন ঘটনায় সলপ মোড়ের দোকানপাট, ধাবার ব্যবসায়ী তো বটেই, জাতীয় সড়কের দু’পাশে থাকা বহু হোটেলের মালিক, কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরাই ধরাধরি করে রক্তাক্ত স্বপনবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওদের হয়তো টাকাপয়সা লুটপাটের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাত খুব গভীর না হলেও যেভাবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে দু’টি ধাবায় দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাল, তাতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের কথাও জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এসব এলাকায় রাতে পুলিসের টহলদারি ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি উঠছে।