পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনি-রবিবারের দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিটি সেন্টারের চাতালে তিলধারণের জায়গা পাওয়া যেত না। নিজস্ব গাড়ি তো বটেই, সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লক থেকে সাইকেল রিকশ করেও অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে আসতেন এই আড্ডাস্থলে। ‘আনলক থ্রি’ শুরু হলেও এখনও সল্টলেক সিটি সেন্টার যে ছন্দহীন, গোটা চত্বর ঘুরে তা বোঝা গেল। সিটি সেন্টারের সামনে রিকশ স্ট্যান্ডে বসে রয়েছেন মাত্র তিনজন। সকাল ৮টা থেকে বসে বেলা ১২টায় বউনি করছেন তাঁরা।
গৌতম নস্কর নামে এক রিকশচালক বলেন, প্রতিদিন রিকশ চালিয়ে সপ্তাহের শেষে ৬০০-৭০০ টাকা রোজগার হতো। তখন শনি-রবিবার এবং ছুটির দিনে রোজগার বেশি হতো। আর এখন একেবারে উল্টো। শনি-রবিবার বউনি না করেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এদিন এলাকা ঘুরে দেখা গেল, ওই চত্বরে বহু খাবারের দোকান দুপুরের পরও বন্ধ। দু-একটি চিপস, কোল্ড ড্রিঙ্কসের দোকান খুললেও কেনার লোক নেই।
সিটি সেন্টারের ভিতরে এক নামজাদা বিপণির মালিক বললেন, আমরা চাই সাধারণ মানুষ আতঙ্ক কাটিয়ে এখানে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনুন। তাঁর মতে, সিটি সেন্টারে লোকজন এলে ব্যবসায়ীদের আর্থিক দৈন্য ঘুচবে। অর্থনীতি চাঙ্গা হলে আখেরে লাভ হবে সকলেরই। সিটি সেন্টারের ভিতরে সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ খেয়াল রাখা হচ্ছে। প্রবেশদ্বারে ব্যবহার করা হচ্ছে স্যানিটাইজার, সঙ্গে থার্মাল চেকিংও চলছে তাল মিলিয়ে। কোভিডের কুদৃষ্টি এড়িয়ে স্বাভাবিক ছন্দ ফেরাতে সল্টলেক তথা শহরবাসীর সহযোগিতার আশায় গোটা সিটি সেন্টার চত্বর।