উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
প্রতিদিনের মতো এদিনও সকাল ৮টা নাগাদ রাজপুর বাজারের কাছে নিজের বাড়ি থেকে কাঠগোলায় যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন মণিলাল প্যাটেল নামে ওই ব্যবসায়ী। রাস্তায় আচমকা তাঁকে ঘিরে ধরে তিন দুষ্কৃতী। একজনের হাতে ছিল চপার এবং অপরজনের হাতে পিস্তল। তৃতীয় ব্যক্তি বাইকে বসে ছিল। চপার হাতে থাকা দুষ্কৃতী ব্যবসায়ীর হাত থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ কেড়ে নিতে গেলে বাধা দেন তিনি। এদিকে অন্যজন পিস্তলে গুলি ভরতে গেলে সেটা কোনওভাবে পড়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রথমজন চপার দিয়ে ব্যবসায়ীর হাতে আঘাত করে ব্যাগটি কেড়ে নেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান তিনি। স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে গেলে, তাঁকেও চপার দিয়ে মারার হুমকি দেওয়া হয়। এর মধ্যেই বাইকে করে ওই তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সাহায্যে আহত মণিলালবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বাবা বলেন, ছেলের ব্যাগে দেড় লক্ষ টাকা ছিল। এমন একটা ঘটনার পর থেকে আমরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছি।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যবসায়ী বলেন, বাড়ির
কাছেই কাঠগোলা হওয়ায় মণিরামবাবু হেঁটেই যাচ্ছিলেন। একটি বাইক তাঁকে অনুসরণ করছিল। দোকানের সামনে আসতেই বাইক থেকে দু’জন
নেমে আসে। তাদের মধ্যেই একজন চপার দিয়ে
তাঁর হাতে মারে। ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে বি সি রায় রোড দিয়ে তারা বাইক চালিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। দিনের বেলা যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করা যাবে কী করে, প্রশ্ন তাঁদের।
এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজপুর বাজারের রাস্তা অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সোনারপুর থানার পুলিস। আন্দোলনকারীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। কিন্তু তাঁরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন। অভিযোগ, পুলিস সেই সময় অবরোধ তুলতে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। দোকানে ঢুকেও মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে থানায় গিয়ে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দাবি ও পুলিসের ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি।