বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভূপতিপুরের একটি জমি নিয়ে রায় পরিবারের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, বুধবার দুপুরে বির্তকিত জমিতে লাগানো একটি পেঁপে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে ফের বিবাদ শুরু হয়। রায় পরিবারের সদস্য সুরজিৎ পেঁপে গাছ কাটতে গেলে তার খুড়তুতো ভাই প্রকাশ, রাজু, প্রতাপ ও সুভাষ বাধা দেয়। অভিযোগ, এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হলে প্রকাশরা হাঁসুয়া নিয়ে সুরজিতকে আঘাত করে। অবস্থা দেখে দাদাকে বাঁচাতে ছুটে এলে অভিযুক্তরা অধীরকেও হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকে এবং উইকেট, বাঁশ দিয়ে ব্যাপক মারধর শুরু করে। মারধরের চোটে রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনই মাটিতে পড়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর প্রতিবেশীরা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে বৃহস্পতিবার ভোরে অধীরের মৃত্যু হয়। ঘটনা সর্ম্পকে স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ রায়ের বক্তব্য, বির্তকিত জমিটি নিয়ে দু’টি পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছে। বর্তমানে আদালতে মামলাও চলছে। তিনি জানান, যে জায়গায় পেঁপে গাছটি ছিল, সেটি দু’টি পরিবারের করোর নয়। এই পেঁপে গাছটিকে নিয়ে এর আগেও দুই পরিবারের মধ্যে একাধিবার ঝামেলা হয়েছিল। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এদিকে, অধীর রায়ের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চাপানউতোর শুরু হয়েছে। অধীর তাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং তাঁকে বিজেপি ও সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে— এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, এটি একটি পারিবারিক বিবাদ। তৃণমূল এই মৃত্যুতে রাজনীতির রং লাগাতে চাইছে।