কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ফলে বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গুর পাশাপাশি ম্যালেরিয়া নিয়েও জোরদার প্রচার এবং নানা ধরনের পদক্ষেপ করে পুরসভা। চলতি বছরেও যার খামতি ছিল না। তবে, এই বছর করোনার জেরে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে জঞ্জাল পরিষ্কার। গৃহস্থবাড়িতে জল জমা কিংবা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। যা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধেও শাপে বর হয়েছে বলেই মনে করছেন পুরকর্তারা।
উল্লেখ্য, ভারতে ৫৬ রকমের অ্যানোফেলিস প্রজাতির মশা রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৯টি প্রজাতি ম্যালেরিয়া ছড়ায়। শহর কলকাতায় ম্যালেরিয়ার বাহক মূলত অ্যানোফেলিস স্টিফেনসাই প্রজাতির মশা। পুরসভার হিসেব বলছে, ২০১০ সালে প্রায় এক লক্ষ মানুষের ম্যালেরিয়া হয়েছিল কলকাতায়। সেটাই গত ১০ বছরের রেকর্ড। মারা গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তবে, ২০১১ সাল থেকে শহরে ম্যালেরিয়ায় একটিও মৃত্যু হয়নি বলেই দাবি স্বাস্থ্যবিভাগের। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে কমতে বছরে গড়ে তিন-সাড়ে তিন হাজার হয়েছে।
মূলত, কলকাতার ১০টি ওয়ার্ড যেখানে গত কয়েক বছরে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি দেখা গিয়েছিল এবং বৃষ্টির জল অপেক্ষাকৃত বেশি জমে সেই সব জায়গায় বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। ২৫, ৩৯, ৪১, ৪৯, ৪৬, ৪৭, ৫৩, ৫৪, ৬১ ও ৬২। এই ১০টি ওয়ার্ডে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিগত ১০ বছরে একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নতি করেছে পুরসভা। তৈরি হয়েছে পতঙ্গ গবেষণা কেন্দ্র। পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের ভেক্টর কন্ট্রোলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘ম্যালেরিয়ার মশার লার্ভা সমতলের থেকেও উপরের তলায় বেশি জন্মায়। ক্লোরিন মিশ্রিত জলের তুলনায় বৃষ্টির জল বেশি পছন্দ করে এই প্রজাতির মশা। ছোট পরিসরে ডেঙ্গু মশার লার্ভা জন্মালেও ম্যালেরিয়াবাহী মশার লার্ভা অপেক্ষাকৃত বড় পরিসরে জন্ম নেয় এবং আলোকপূর্ণ খোলা জায়গায় পছন্দ করে। তাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে বড় পরিসরে বৃষ্টির জল জমে বা জমার সম্ভাবনা থাকে, সেই সব জায়গায় আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। বিশেষ করে বাড়ির ছাদ বা নির্মীয়মাণ বহুতলগুলিতে নিয়মিত পরিদর্শন ও নজরদারি চলছে। তবে করোনার কারণে জনগণ এবছর অনেকটা সচেতন, সেটাও বাড়তি পাওনা। দীর্ঘ কয়েক বছরের গবেষণালব্ধ কাজের ফসল আমরা পাচ্ছি।’