কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বসিরহাটের পুলিস সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, বাদুড়িয়ায় খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সামসুরনাহারের বড় মেয়ে তারা বিবির শ্বশুরবাড়ি স্বরূপনগর থানার ধোকড়া গ্রামে। তারা বিবির মেয়ে সোমা খাতুন প্রায়শই দিদার বাড়িতে বেড়াতে আসত। সেই সূত্রে প্রতিবেশী যুবক আল-আমিন গাজির সঙ্গে প্রেম গড়ে ওঠে। কিন্তু তারা বিবি বা তাঁর মা কোনওভাবেই আল-আমিনের সঙ্গে সোমার বিয়ে দিতে রাজি হননি। কারণ, আল-আমিন তেমন কোনও কাজ করত না। তাছাড়া তার সম্পর্কে এলাকায় বদনামও রয়েছে। তাসত্ত্বেও বছর খানেক আগে বাড়ির অমতেই আল-আমিনকে বিয়ে করে সোমা খাতুন। সম্পর্ক একটু স্বাভাবিক হতেই লাগোয়া দিদার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে নাতনি। পরে দিনের বেশির ভাগ সময় সেখানেই কাটাত সে। কেন দিদার বাড়ি গিয়ে সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকবে, তা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি করত আল-আমিন। মাস ছয়েক আগে নানা কারণে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। লকডাউনের আগে আল-আমিন মুম্বই চলে গিয়েছিল। করোনা পর্বে বাড়ি ফিরলেও স্ত্রীর সঙ্গে ফের অশান্তি শুরু হয়। ঝামেলা চরমে পৌঁছলে তিন দিন আগে গৃহবধূ সোমা স্বরূপনগরে বাপের বাড়ি চলে যায়। এদিন দুপুরে স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা নিয়ে দিদি-শাশুড়ির সঙ্গে আল-আমিনের ঝামেলা হয়। এমনকী সামসুরনাহার বিবির উপর চাপ দিতে শুরু করে সে। কিন্তু ওই ভদ্রমহিলা নাতনির পক্ষ নিয়ে আল-আমিনকে গালমন্দ করেন। এরপর উত্তেজিত যুবক ঘর থেকে ধারালো হাঁসুয়া বের করে দিদি-শাশুড়ির উপর হামলা চালায়। মাথা ও ঘাড়ে একের পর এক কোপ মারে। বারবার কুপিয়ে ঘাড়ের কাছ থেকে অর্ধেক গলা কেটে দেওয়ার পর সে বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, আল-আমিন এলাকার কারওর সঙ্গে সেইভাবে মিশত না। কোথায় কাজ করত, স্ত্রীকেও বলত না। মাঝেমধ্যে উধাও হয়ে যেত। তার এই খামখেয়ালিপনার জন্য স্ত্রী সন্তান নিতে রাজি হচ্ছিল না। এছাড়া সাংসারিক অশান্তি ছিল। এইসব সমস্যার জন্য সে দিদি-শাশুড়িকেই মূল পরামর্শদাতা মনে করত আল-আমিন। স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর তার আক্রোশ আরও বেড়ে গিয়েছিল। এদিন বিকেলে বাদুড়িয়া থানার পুলিস আল-আমিন গাজির মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে স্বরূপনগরের কাবিলপুর থেকে আটক করেছে।