পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ছোট-বড় মিলিয়ে শহরে প্রায় ১৪ হাজার ৭০০টি গাছ ভেঙে পড়েছিল। ঠিক হয়, শহর জুড়ে প্রায় ৫০ হাজার গাছ লাগানো হবে। গত ৫ জুন, পরিবেশ দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বৃক্ষরোপণ প্রক্রিয়ার সূচনা করেছিল পুরসভা। পুর-কর্তৃপক্ষ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কাজে সাহায্য করছে। এমনকী বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনও এগিয়ে এসেছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন বা সংস্থার তরফে পুরসভার উদ্যান বিভাগের হাতে এসেছে ২০ থেকে ২২ হাজার নতুন গাছ। যার পুরোটাই নিম এবং দেবদারু। আরও পাঁচ-সাত হাজার গাছ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মিলবে বলে জানিয়েছেন পুর-আধিকারিকরা। বৃক্ষরোপণের জন্য গাছের জোগান পর্যাপ্ত থাকলেও তা দ্রুততার সঙ্গে লাগানো যাচ্ছে না, আক্ষেপ পুরসভার। ওই সূত্র বলছে, গত তিনমাসে নতুন বৃক্ষরোপণ হয়েছে মাত্র চার হাজার। ইতিমধ্যেই চেতলা, রাসবিহারী, দেশপ্রিয় পার্ক, আলিপুর, টালিগঞ্জ, লেক রোড, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, উত্তরের দীনেন্দ্র স্ট্রিট সহ ১, ৩, ৫, ৮ নং বরোর বিভিন্ন জায়গায় এই গাছগুলি লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার গাছ পুনঃস্থাপনও করা হয়েছে। এক কর্তার কথায়, কাজ করতে গেলে টাকার দরকার। এখন কোষাগারে টান থাকায় একলপ্তে বেশি টাকা বরাদ্দ করা যাচ্ছে না। তার উপর রয়েছে লোকবলের অভাব। তাই, পুরনো গাছ পুনঃস্থাপন কিংবা নতুন বৃক্ষরোপণ, কোনওটাই ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। তবে, চেষ্টা চলছে। টার্গেট ছিল, চলতি বর্ষার মধ্যেই শহরে ৫০ হাজার গাছ লাগানো। কিন্তু যে গতিতে কাজ এগচ্ছে, তাতে তা শেষ হতে আরও সময় লাগবে। তবে, পুজোর মধ্যেই সেই টার্গেটে পৌঁছতে পারবেন বলে মনে করছেন পুর-কর্তারা। তবে, লোকের অভাবের কথা স্বীকার করতে চাননি উদ্যান বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য দেবাশিস কুমার। তাঁর বক্তব্য, দ্রুততার সঙ্গেই কাজ চলছে। যে সব বরোতে গাছ পড়ে গিয়েছিল, সেগুলি অনেকাংশেই লাগানো হয়েছে। আরও গাছ লাগানো হবে।