বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমাজের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই হাজার কাজের ফাঁকে ‘মধ্যমগ্রাম আমার তোমার’ ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন বেশ কয়েকজন যুবক ও যুবতী। সাত-পাঁচ ভাবনার মাঝেই বাড়ির অব্যবহৃত ওষুধ স্রেফ পড়ে পড়ে নষ্ট হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে অনেকের। যদি ওই ওষুধ সংগ্রহ করে গরিব মানুষের হাতে তুলে
দেওয়া যায়, তা নিয়ে তাঁরা ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। সেই মতো মধ্যমগ্রাম পুরসভায় ঢোকার গেটে প্রথম একটি মেডিসিন ড্রপ বক্স বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। গত মার্চ মাস নাগাদ পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ড্রপ বক্স বসানো হয়। এরপর শ্রীনগর৩ নম্বরে একটি দোকান ও সুভাষগড়ের একটি উপহার সামগ্রীর দোকানেও ড্রপ বক্স বসানো হয়। তার গায়ে ফোন নম্বরের পাশাপাশি অব্যবহৃত ওষুধ জমা করার আবেদন জানানো হয়।
প্রথমদিকে সেভাবে সাড়া না মিললেও এখন বক্স উপচে পড়ছে নানা ওষুধে। তাতে সর্দি-কাশির ওষুধ থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, থাইরয়েড, প্রেসার, সুগার, নার্ভের ওষুধ দিচ্ছেন শহরবাসী। কোনও কোনও সপ্তাহে এক-একটি বাক্সে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার ওষুধও জমা পড়ছে। অনেকে ফোনে যোগাযোগ করছেন। গ্রুপের সদস্যরা তাঁদের বাড়ি থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে আনছেন। সাধারণ মানুষের সাড়া দেখে উৎসাহী সদস্যরা আরও মেডিসিন ড্রপ বক্স লাগানোর পরিকল্পনা করেছেন।
ফেসবুক গ্রুপের অন্যতম কার্যকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী বলেন, মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই আমরা এই পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। এখন সকলের উৎসাহ দেখে খুবই ভালো লাগছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওষুধ দিচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করে ওষুধ দিচ্ছি। আমরা চাই, এলাকার কোনও মানুষ ওষুধের অভাবে যেন কষ্ট না পান।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ বলেন, ওই ফেসবুক গ্রুপের সদস্যরা পুরসভা এলাকায় মেডিসিন ড্রপ বক্স লাগানোর আবেদন নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। তাঁদের সদর্থক ভাবনা দেখে আমরা এককথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।