কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তারকেশ্বর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বপন সামন্তের কথায়, করোনা সংক্রমণ আটকাতেই প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে মন্দির ও শ্রাবণী মেলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মঠের প্রধান মহন্ত মহারাজ। মানুষকে সুস্থ রাখাই এখন লক্ষ্য প্রশাসনের। সেকারণে প্রশাসন নজরদারি যেমন চালাচ্ছে, তেমন পুলিসি টহলদারিও চলছে। বুধবার লকডাউনে সেই নজরদারি আরও কড়া হয়েছে। মেলা ও মন্দির বন্ধের ফলে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হালও খারাপ হয়েছে। লোকের আনাগোনা নেই, বিক্রিবাটা নেই। আশা করছি, আগামী বছর সব বাধা অতিক্রম করে আগের মতোই শ্রাবণী মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
বৈদ্যবাটির নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় বহু মানুষ আছেন, যাঁরা পুজোর উপকরণ বিক্রি করেন। পুণ্যার্থীরা সেখান থেকে পুজোর জিনিস কেনেন। এবার মেলা বন্ধ হওয়ায় তারকেশ্বর মন্দিরের ১০৪ জন পুরোহিত, ৪৬৫ জন প্রদর্শক ও সহকারী প্রদর্শক এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার ব্যবসায়ীর রুটি-রুজি বন্ধ। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, মন্দিরকে কেন্দ্র করে যাঁদের জীবিকা নির্ভর করে, তাঁরা প্রত্যেকেই শ্রাবণ মাসের এই মেলার দিকে তাকিয়ে থাকেন। সেই আশায় এবার জল ঢেলে দিয়েছে করোনা ভাইরাস।
১৭ মার্চ গাজন মেলা বন্ধ করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। পরের দিন, ১৮ মার্চ পুণ্যার্থীদের গর্ভগৃহে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আনলক পর্বে ২৫ জুন কর্তৃপক্ষ মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও সেইদিনই মন্দির সংলগ্ন গ্রামগুলিতে বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হন বলে খবর আসে। ফলে ২৬ জুন থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের প্রদর্শকমণ্ডলীর সদস্য সদানন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মন্দিরকে কেন্দ্র করেই আমাদের জীবিকা। মার্চের শেষ দিকে সেই যে মন্দির বন্ধ হয়েছে, তারপর আর খোলেনি। মাঝে অবশ্য একদিন খুলেছিল, তবে ভক্তরা তেমন কেউ আসেননি। আমরা ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি। সংসার চালাব কী করে, মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাব কী করে, কিছুই বুঝতে পারছি না। লোকাল ট্রেন চালু হলে বা মন্দির খুললেও পুণ্যার্থী কতজন আসবেন, তা নিয়ে চিন্তা আছে।