গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, পুরভোটের আগে গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে আগামী কয়েক মাসের খরচ-খরচা চালানোর জন্য ভোট অন অ্যাকাউন্ট পুর-অধিবেশনে পাশ হয়েছিল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তার মেয়াদ ফুরোতে চলেছে। সেই কারণেই নতুন বাজেট তৈরি করতে না পারলে, চলতি অর্থবছরের আগামী ছ’মাসের খরচ চালানো যাবে না। তাই, বাজেট সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরির জন্য পুর-কর্তাদের ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তবে, বার্ষিক আর্থিক বিবরণী পূর্ণাঙ্গ বাজেট নামে হবে নাকি অন্য কোনও পরিভাষা ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই পুরসভা সূত্রে খবর। পুরসভার আইন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, সবটাই আইন মোতাবেক হবে।
কলকাতা পুরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা প্রশাসকমণ্ডলী সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন। চলতি মাসেই ফের শুনানি রয়েছে। তাই, আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় পুরসভা। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, সেপ্টেম্বর অব্দি বাজেট রয়েছে। মহামান্য আদালত প্রশাসক বোর্ডকে কাজ চালানোর অনুমতি দিলে আমাদের আগামীর বাজেট করতে হবে। না হলে সেপ্টেম্বরের পর খরচ চালানো যাবে না। তাই নথিপত্র রেডি রাখতে বলেছি। আদালত অনুকূল নির্দেশ দিলে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে। যদিও পুর-কর্তাদের মতে, এই ধরনের মামলায় সরকারের পক্ষেই মত দেবে আদালত। কারণ জনপরিষেবার কোনও সমস্যা হয় বা অন্য কোনও সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়, এমন নির্দেশ বা রায় আদালত দেবে না বলে আশাবাদী তাঁরা। যদিও প্রশাসকমণ্ডলীর এক প্রবীণ সদস্যের কথায়, রাজ্য সরকার যে আইনি বলে প্রশাসকমণ্ডলীর তৈরি করেছে, সেই সার্কুলারে স্পষ্ট ভাবে পুরবোর্ডের সমান ক্ষমতা প্রশাসক বোর্ডের হাতে ন্যাস্ত। ফলে বাজেট পেশ করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পুরসভার খরচের পরিধি বেড়েছে। সেফহোম, চিকিৎসকদের হোটেল ভাড়া, গত তিন-চার মাসে ধরে অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া, সব মিলিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রমের থেকে খরচের বহর মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন করে অডিট করার প্রয়োজন। বাজেট পেশের আগে সেই অডিটের কাজ সারতে ব্যস্ত আধিকারিকরা। বিভাগভিত্তিক আয়-ব্যয়ের হিসাব চলছে। পুরনো কয়েক মাস আগের করা অডিট রিপোর্ট এক্ষেত্রে কোনও কাজে দেবে না বলেই মত কর্তাদের। তার উপর কোষাগারের হাল বেহাল হওয়ার কারণে রাজ্য সরকারের থেকেও দু’মাসের খরচ চালানোর জন্য অর্থ চেয়েছে পুরসভা। সব মিলিয়ে একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা। তাই, নতুন করে অডিটের প্রয়োজন। ফলে বিরাট ঝক্কি সামলে গাণিতিক হিসেব কষতে তৎপর
পুর-কর্তারা।