পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সেখ কচোবুদ্দিন বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোট একটি মাটির বাড়িতে বাস করতাম। ঝড়ে সেটি পড়ে যাওয়ার পর স্থানীয় কাউন্সিলারের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করি। এরপর একাধিকবার এই বিষয়ে যোগাযোগ করলেও কাজ হয়নি। পুরসভা থেকে একটি ত্রিপল দেওয়া হয়েছিল। সেটি খাটিয়ে কোনওরকমে রাত কাটাতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ঝড়ে ঘর ভেঙে যাওয়ার পর স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে সেখানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হওয়ায় আমাদের স্কুল বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে হয়। আর তারপর থেকেই ছোট তাঁবুর মধ্যে থাকতে হচ্ছে। কচোবুদ্দিনের স্ত্রী সোবুরা বেগম জানান, প্রথমে কোনওরকমে দিন কাটছিল। কিন্তু এখন বর্ষার সময় তাঁবুর মধ্যে জল ঢুকে যাওয়ায় সারারাত ছেলেমেয়েদের নিয়ে জেগেই কাটাতে হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে বিদায়ী কাউন্সিলারের বক্তব্য, অনেকেই ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছিলেন। আমি সব আবেদনপত্র পুরসভায় জমা দিয়ে এসেছি। এরপর আর কিছু জানি না। বিষয়টি নিয়ে উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অভয় দাস জানান, পুরসভায় জমা পড়া সমস্ত আবেদনপত্র মহকুমাশাসকের দপ্তরে জমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। ৮ নং ওয়ার্ডের ওই ব্যক্তিও পেয়ে যাবেন। তবে যদি উনি ক্ষতিপূরণ না পান, তাহলে আমরা পুরসভার পক্ষ থেকেই তাঁকে আর্থিক সহায়তা দেব। নিজস্ব চিত্র