বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্যজুড়ে করোনার যা পরিস্থিতি, সেখানে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসক স্থানীয় হেড কোয়ার্টার্স কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ছেড়ে যেতে পারবেন না। এই মর্মে নির্দেশনামা জারি করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী। সেখানে উষ্মাপ্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, বহু স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ও হেডকোয়ার্টার্স ছেড়ে যাচ্ছেন। ফলে করোনা মোকাবিলার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
এদিন রাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০ হাজার ৯৮৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৫৪। করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৮৫।
এদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কোভিড হাসপাতালের প্রায় সাড়ে সাতশো করোনা বেডের পুরোটাতেই এখন রোগীতে ভর্তি। স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগেও ফাঁকা রয়েছে যৎসামান্য শয্যা। সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, রোজ কিছু রোগী ছুটি হচ্ছেন, সে জায়গায় ভর্তি করা হচ্ছে। কিন্তু যা অবস্থা, একসঙ্গে বেশি পজিটিভ রোগী এলে এরপর জায়গা দেওয়া কঠিন হবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের করোনা মোকাবিলায় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের একাংশ জানান, তাঁদের কাছে এখন শিরঃপীড়ার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেরি করে বা রোগ জটিল হওয়ার পর আসা করোনা রোগীরা। ফিভার ক্লিনিকে দেখানো, পরীক্ষা করানো বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া— সবক্ষেত্রে বহু দেরি করে আসছেন পজিটিভ রোগীদের একাংশ। সে কারণে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ছে।