দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
কীভাবে সে এই প্রতারণা ব্যবসা চালাত? সৌমিত্র পুলিসকে জানিয়েছে, সে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ তৈরি করে। তাতে লেখে, হাসপাতালের তরফে বাড়ি গিয়ে সে লালারসের নমুনা নিচ্ছে। বাইপাসের ওই হাসপাতালের কর্মী বলে নিজেকে পরিচয় দেয়। ওই মেসেজের সঙ্গে www.wbhealth.gov.in পেজের লিঙ্ক জুড়ে দেয়। এই মেসেজ সে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রপে ছড়িয়ে দেয়। অনেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সৌমিত্র সবাইকে জানায়, সে বাড়ি থেকেই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করবে। কিন্তু এরজন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা দিতে হবে। জেরায় পুলিসকে সে জানিয়েছে, এর জন্য ৩৪০০ টাকা নিত। নমুনা সংগ্রহ করার পর বাইপাসের ওই হাসপাতালে সে জমা করত। তারপর সেখান থেকে রিপোর্ট নিত। যা পৌঁছে দিত বিভিন্ন ব্যাক্তির বাড়িতে। এই ভাবে সে এক হাজারেরও বেশি লোকের নমুনা সংগ্রহ করেছে। এদিকে, তদন্ত পর্বে কয়েকটি বিষয় নিয়ে খটকা লাগছে পুলিসের। তা হল, বাইরের কেউ এসে হাসপাতালে লালারসের নমুনা জমা দিতে ও রিপোর্ট নিতে পারে না। অভিযুক্ত যুবক ওই হাসপাতালে এখন কাজ করে না। তারপরেও কি করে সে এখান থেকে টেস্ট করাত? সৌমিত্র পুলিস কে জানিয়েছে সে ল্যাব ডিভিশনে কাজ করত। কোভিড টেস্টের সঙ্গে যুক্ত ডাক্তার ও ল্যাব কর্মীদের একাংশের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। সেই সুবাদেই সে নমুনা পৌঁছে দিয়ে রিপোর্টও নিয়ে আসতে পারত। সৌমিত্র কোভিড টেস্টের সঙ্গে জড়িত ডাক্তার ও অন্য কর্মীদের একাংশের নিয়মিত ‘মুঠো গরম’ করত বলে পুলিস জানতে পারছে। ওই হাসপাতালের কোভিড নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্টের জন্য আলাদা ফোল্ডার রয়েছে। তার একটি ইন্টারনাল লিঙ্ক আছে। বাড়ি থেকে যাদের নমুনা আনা হতো তাঁদের নাম ওই ফোল্ডারে ঢুকিয়ে দিত সৌমিত্র। যাতে খাতায় কলমে সমস্ত কিছু ঠিক থাকে। এই কাজে তাকে হাসপাতালের কারা সাহায্য করত, তা জানার চেষ্টা চলছে। এই চক্রে আর কারা কারা জড়িত, খোঁজ চলছে তারও।