দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দিনগুলিতে সাপ্তাহিক লকডাউন জারি রয়েছে। গত কয়েকদিনের লকডাউনে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিয়ম মানার আভাস মিলেছে। তবে বাকি দিনগুলিতে মাস্ক না পরার সাহস দেখাচ্ছেন অনেকেই। স্বাস্থ্যদপ্তরের মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে করোনায় মৃত্যু নয়া নজির স্থাপন করেছে। সেদিন রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫৪। তার মধ্যে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা—এই দুই জেলায় মোট ২৯ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর। সোমবারের এই পরিসংখ্যানের পরেও মঙ্গলবার, অর্থাৎ লকডাউনের আগের দিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়ানোর স্পর্ধা দেখিয়েছেন কিছু উদাসীন মানুষ। এদিন সকালে আলিপুর রোডের ‘এগ্রি অ্যান্ড হর্টিকালচার সোসাইটি অব ইন্ডিয়া’র কাছে এক পেট্রল পাম্পের কর্মচারীকে বিনা মাস্কে গল্পগুজব করতে দেখা যায়। ‘মাস্ক না পরে বাইরে বেরিয়েছেন কেন?’— পেট্রল পাম্পের কর্মচারীকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, ‘এতক্ষণ অফিসের ভিতরে ছিলাম, এক্ষুনি বাইরে এসে একটু কথা বলছি।’
দক্ষিণ কলকাতাতেও একই ছবি। টলি রোড বরাবর খালপাড় সংলগ্ন এলাকায় দেখা গিয়েছে একদল যুবক ক্যারাম খেলছেন। তাঁদের পাশে আরও কয়েকজন সামাজিক দূরত্ব না মেনেই সেই খেলা উপভোগ করছেন। তবে সেখানে কারওর মুখেই মাস্ক নেই। প্রশ্ন করলে উল্টে মিলেছে বিদ্রুপের হাসি। উত্তর কলকাতার বিভিন্ন পাড়ার মোড়ে মোড়ে চলছে আড্ডা। আড্ডার বিষয়বস্তু করোনা ভাইরাস। তবে তা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার ন্যূনতম প্রচেষ্টা করছেন না অনেকেই। তাঁদের বেশিরভাগেরই সাধারণ অজুহাত, মাস্ক পড়লে শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হচ্ছে। অনেকে আবার বিনা মাস্কে দল বেঁধে তাস পেটাচ্ছেন। সারা বিশ্ব যখন এই মহামারীর প্রকোপে কাহিল, তখন কিছু অসচেতন শহরবাসীর কাছে এই লকডাউন নিছকই ‘অবসর’।
অসচেতন মানুষের এই উদাসীনতা রুখতে তৎপর কলকাতা পুলিস। প্রতিদিনই বিনা মাস্কে রাস্তায় বের হওয়া, যত্রতত্র থুতু ফেলা ইত্যাদির কারণে মহামারী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন পুলিসের আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও, বিনা মাস্কে রাস্তায় বেরনোর জন্য ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিস।