পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বারুইপুর-কুলপি রোডের ধারে ডানদিকে বসে বহু প্রাচীন সূর্যপুরের হাট। বারুইপুরের রায়চৌধুরী এস্টেট এই বাজার পরিচালনা করে। তাদের শ্রী শ্রী মা আনন্দময়ী ঠাকুরানীর নামেই এই হাট। শুধুমাত্র বারুইপুর ব্লকের ১৯টি পঞ্চায়েত এলাকার কৃষিজীবী বা ব্যবসায়ীরা নন, কুলতলি, জয়নগর, রায়দিঘি, মথুরাপুর, লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে কয়েক হাজার মানুষ এখানে ভিড় করে। রাত ৩ টের পর থেকেই হাট বসে যায়। পাইকারি, খুচরো সব কেনাবেচা হয়। কৃষকরা তাঁদের তৈরি ফসল নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। প্রতিদিন সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত তা চলার পর শুরু হয়ে যায় মাছ, সব্জির বাজার। প্রায় দুপুর পর্যন্ত চলে হাট। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শয়ে শয়ে সব্জি, মাছের গাড়ি আসে। কয়েকশো দোকান আছে হাটে। জানা গিয়েছে, একবছর আগে বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতি সূর্যপুর ঘাটের কাছে একটি পাইকারি বাজার চালু করে। এতেও সকাল থেকে অত্যাধিক ভিড় লেগে থাকে। রাস্তার দুইপাশেই বাজার বসে যায়। এতটাই খারাপ হয় পরিস্তিতি যে, কুলপি রোড সকালের পর থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যানজট মোকাবিলায় পুলিস নামানো হলেও সমস্যা কমেনি। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ বলেন, বাজারের আধুনিকীকরণ ও এই বাজারের ভিড় কমাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা লিখিত আবেদন জানিয়েছিলাম বিধায়কের কাছে। এরপরেই তাঁর উদ্যোগে কিষান মান্ডি করার চিন্তাভাবনা করা হয়। জানা গিয়েছে, সূর্যপুর হাট থেকে কয়েক মিনিট দূরত্বে শঙ্করপুর ১ পঞ্চায়েতের টেকা মৌজায় সেচ দপ্তরের প্রায় ৬৩ বিঘা ঘেরা জমি এর জন্য চিহ্নিত হয়েছে। গুদাম, হিমঘর, দোকানঘর সহ আধুনিক মানের কিষান মান্ডি নির্মাণ হবে। এতে সূর্যপুর হাট ও পঞ্চায়েত সমিতির পাইকারি বাজারের কিছু ব্যবসায়ীদের সরানো হবে। যদিও বারুইপুরের রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্য অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরী বলেন, কিষান মান্ডি নির্মাণের কথা এখনও আমাকে জানানো হয়নি। তবে আমি চাইবো পুরাতন হাটের আধুনিকীকরণের ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হোক।