পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার রাতে হাওড়ার মল্লিকফটক এলাকার পি কে ব্যানার্জি রোডে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। এখানে এলোপাথাড়ি ইট ছোঁড়ায় হাওড়া থানার এক সাব-ইন্সপেক্টরের মাথা ফেটে যায়। এছাড়া, লাঠি, রড, ধারাল অস্ত্র নিয়েও পুলিসের উপর আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। আরও কয়েকজন পুলিসকর্মীর অল্পবিস্তর চোট লেগেছে। তবে যার খোঁজে পুলিস গিয়েছিল, তাকে আর সেখানে পাওয়া যায়নি।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হাওড়া থানার কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিসকর্মী রোহিত নামে এক দুষ্কৃতীর খোঁজে পি কে ব্যানার্জি রোডে যান। যখন তাঁরা ওই এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন, তখন ১৫-২০ জনের অন্য একটি দুষ্কৃতীদল তাঁদের উপর হামলা চালায়। আচমকা এমন আক্রমণে প্রথমে হতচকিত হয়ে যান ওই পুলিসকর্মীরা। কোনওরকমে তাঁরা হামলার কথা হাওড়া থানায় জানান। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও বাহিনী চলে আসে। দুষ্কৃতীদলটিকে তাড়া করলে তারা ইট ছুঁড়তে থাকে। তাতেই সুবীর গুহমজুমদার নামে এক সাব ইন্সপেক্টরের মাথা ফেটে যায়। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রাত পর্যন্ত পুলিসের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ চলে অলিগলিতে। শেষপর্যন্ত সাতজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
পুলিসের এক পদস্থ কর্তা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঝিলপাড় এলাকায় সুদীপ সাহানি এবং গৌতম আগরওয়াল ওরফে গুড্ডু নামে দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে ঝামেলা বাধে। মদ্যপ অবস্থায় ঝামেলা চলার সময় গুড্ডু সুদীপের মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর রাতে অন্য একটি অভিযোগের তদন্তে রোহিত নামের দুষ্কৃতীকে খুঁজতে পুলিস গুড্ডুর ডেরার দিকে চলে আসে। গুড্ডু এবং তার দলবল ভাবে পুলিস সম্ভবত তাদেরই ধরতে এসেছে। তখন গ্রেপ্তারি এড়াতে তারা পুলিসের উপর বেপরোয়া আক্রমণ চালায়। যে সাতজনকে পুলিস ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে, তার মধ্যে রয়েছে গুড্ডু ওরফে গৌতম আগরওয়ালও। তাকে জেরা করেই পুলিস এই কথা জানতে পেরেছে।