দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
রাসখোলা এবং শ্যামসুন্দর ফেরিঘাট ছাড়াও রয়েছে নাথুপাল ঘাট, বাবুঘাট, ভারতীয় সঙ্ঘ ঘাট। মূলত শ্যামসুন্দর ঘাট দিয়ে মানুষ ফেরি করে গঙ্গা পারাপার করেন। ওপাড়ে রিষড়া ঘাট। ২০০৩ সালে শেষবার কেন্দ্রীয় সরকারের পাঁচ কোটি টাকায় কেএমডিএ ঘাটগুলি সংস্কার করেছিল। তারপর আর এই ঘাটগুলি নিয়ে ভাবনাচিন্তাই করেনি প্রশাসন, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে, শ্যামসুন্দর ঘাট থেকে কলকাতা ফেরি পরিষেবা শুরু হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ঘাটগুলি যেমন বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে, সেখান থেকে এত মানুষ চলাচল শুরু করলে নিরাপত্তার সমস্যা হবে না? শ্যামসুন্দর ফেরিঘাটের জেটি লাগোয়া অংশে দেখা গেল, আবর্জনা এবং পাঁক গঙ্গা পাড়ের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নিয়েছে। ঘাটগুলির বসার জায়গাগুলিও পাঁক-আবর্জনায় ভর্তি। সেগুলিতেও ফাটল ধরেছে। এলাকার বাসিন্দারা বললেন, আগে এই ঘাট থেকেই সোজা গঙ্গার জলে নামা যেত। কিন্তু পলি উত্তোলন এবং ঘাটগুলির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন অনেকটা ঘুরে গঙ্গায় নামতে হয়। রাসখোলায় দেখা গেল, একটি জেটি ভেঙে দু’ভাগ হয়ে জলের মধ্যে ভাসছে। কংক্রিটের একটি বিশাল অংশ পাড় থেকে ভেঙে জলের মধ্যে উল্টে রয়েছে। পাড়ের অন্যান্য অংশগুলিও নিত্যদিন একটু একটু করে ভাঙছে। বাসিন্দারা বললেন, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে কাজ করতে হয়। অনেকেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে জলে পড়েও যান। অতীতে এই ঘাটে অনেকে তলিয়েও গিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও এই বিষয়ে উদাসীন প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র