পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একইসঙ্গে গোটা জেলায় চার লাখ গাপ্পি মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সমস্ত পঞ্চায়েতকে এবিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবারই এনিয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। সেখানে মশার লার্ভখেকো গাপ্পি মাছ যতটা প্রয়োজন হবে ততটাই দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, একইসঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ করার ভাবনা থেকেই ১০০ দিনের কাজকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র ডেঙ্গু মশার প্রজনন স্থলকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। যেখানে প্রয়োজন হচ্ছে, সেখানে আমরা ১০০ দিনের প্রকল্পকে ব্যবহার করছি। প্রয়োজনে গাপ্পি মাছ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মোতাবেক আগেই গোটা জেলায় ভেক্টর বর্ন ডিজিজ নিয়ে প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। জেলার শহর ও গ্রামে বিশেষ দল পাঠিয়ে সমীক্ষা করানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বরের রোগী আছে কি না, খোঁজ করছে। বাড়িতে জমা জল আছে কি না, বাড়ির পরিবেশ, আশেপাশের পরিবেশ খতিয়ে দেখছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে তা নিয়েও প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এরই পাশাপাশি ১০০ দিনের প্রকল্পকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গ্রামে গ্রামে কোথায় স্থায়ীভাবে জল জমে থাকে, তার তালিকা তৈরি হয়েছে। একইভাবে গ্রামীণ নিকাশি ব্যবস্থার সমীক্ষা করা হয়েছে। জল জমে থাকে, এমন সাত হাজার নালাকে আপাতত চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই নালাগুলিকেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে এনে সাফাই করা শুরু হয়েছে। শহর ও গ্রামের নিকাশি নালা, ছোট পুকুরে গাপ্পি মাছও ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে চার লাখ ওই মাছের বরাত দেওয়া হয়েছে। পুরসভা ও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে তা আগামী সপ্তাহ থেকেই ছাড়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, একদিকে তথ্য সংগ্রহ অন্যদিকে দ্রুত পদক্ষেপ, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এই দুই নীতি
নেওয়া হয়েছে।