দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিনের বৃষ্টিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শহরাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জল জমে যাওয়ার কারণে। বি টি রোডের দু’ধারে নানা জায়গায় জল জমে যায়। এমনকী বি টি রোডের বিভিন্ন অংশও জলের তলায় চলে যায় দুপুরের বৃষ্টির পর। কামারহাটি পুরসভার বেশিরভাগ অঞ্চলে জল জমে। বেলঘরিয়ার দেশপ্রিয় নগর, আগরপাড়া, পানিহাটি, খড়দহ, টিটাগড়, বারাকপুর পুরসভাগুলির বহু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আগরপাড়ার টেক্সম্যাকো কারখানায় রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে হয় জল জমে যাওয়ার জন্য। বনগাঁ, বারাসত, মধ্যমগ্রাম থেকে শুরু করে হাবড়া, বসিরহাট এলাকায় জল জমার চিত্র ছিল একইরকম। এসব এলাকায় দুপুরের পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে। বনগাঁর চাকদহ রোডের দু’দিকের একাধিক ওয়ার্ডে কোথাও কোথাও হাঁটুসমান জল জমে যায়। বারাসতের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনী পল্লি, তরুণ পল্লি, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মালির বাগান সহ নানা জায়গা জলবন্দি হয়ে পড়ে দুপুরের পর।
হাওড়া শহরের উত্তর অংশের অবস্থা বেশি খারাপ। জি টি রোডের বিভিন্ন অংশ, গিরীশ ঘোষ রোড, বেলুড়, লিলুয়া, ঘুসুড়ি, সালকিয়ার নানা অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। দক্ষিণ হাওড়ার ব্যাঁটরা, শিবপুরের বিভিন্ন অংশেও জল জমে যায় এই বৃষ্টিতে। উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকা সহ উদয়নারায়ণপুর, আমতা, বাগনানের অনেক জায়গায় এখন বেলা ১১টার পর থেকে লকডাউন চলছে। ফলে রাস্তায় এমনিতেই লোকজন কম। একই কারণে ভোগান্তিও পোহাতে হয়েছে কম মানুষকে। হুগলির শহরতলির চিত্রও কিছু আলাদা নয়। শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, ডানকুনি থেকে শুরু করে চুঁচুড়া, ব্যান্ডেলের বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। দফায় দফায় বৃষ্টিতে রাস্তায় বেরনো লোকজন রীতিমতো ভোগান্তির একশেষ হয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলা, বজবজ পুরসভা এলাকায় জল জমার কারণে মানুষের চূড়ান্ত ভোগান্তি হয়। আজ, লকডাউনের জন্য মঙ্গলবার প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে গিয়ে মানুষ বেশি সমস্যায় পড়েছে। সকালের দিকে যাঁরা হাট-বাজার করে নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভোগান্তি কম হলেও একটু বেলায় যাঁরা বেরিয়েছেন, তাঁদের ভিজতে হয়েছে বৃষ্টিতে।