দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
আবহাওয়া অফিস আগেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছিল। শুধু এদিন নয়, আজ বুধবারও আকাশের মুখ ভার থাকার কথা বলেছে তারা। এদিন সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত বৃষ্টি হলেও তা ছিল বিক্ষিপ্ত। ফলে অন্যান্য সময় খানিকটা বৃষ্টিতেও শহরের যে সব জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে, সেই জায়গাগুলি জল জমার রুটিন ভেঙেছে। কলেজ স্ট্রিটের বিভিন্ন এলাকা, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ, এস এন ব্যানার্জি রোড সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমেনি। তবে বেহালার কিছু অংশ, খিদিরপুর, ওয়াটগঞ্জ, মোমিনপুর সংলগ্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে জল জমার খবর মিলেছে। এদিন সকাল বেলা পর্যন্ত শহরে বৃষ্টিপাতের গড় ছিল ২০-২২ মিলিমিটার। পুরসভার ব্যাখ্যা, অতিভারী বৃষ্টি হলে বিভিন্ন পাম্প চালিয়ে জল নামানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সোমবার মধ্যরাত থেকে এদিন পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে, তাতে নিকাশিনালা দিয়েই স্বাভাবিকভাবে জল বেরিয়ে গিয়েছে। এক পুর-কর্তা জানাচ্ছেন, কলকাতায় ভারী বৃষ্টি হয়নি। সেকারণে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি পুরসভাকে। তবে নিকাশি ব্যবস্থা আগের তুলনায় ভালো হওয়ায় কোথাও সেভাবে জল জমেনি। তাঁর ব্যাখ্যা, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যদি গড়ে ৭০-৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, তাহলে জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেল থেকে আজ বুধবার সকালের মধ্যেই প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা হলে শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেটা মাথায় রেখে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে পুরসভাও।