বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাইপাসের উপর কামালগাজি ফ্লাইওভার যেখানে শেষ হচ্ছে, ঠিক সেখানেই বড় করে ব্যানার লাগানো রয়েছে। তাতে এই রাস্তা সংস্কারের শুরুর দিনক্ষণ, কত টাকা বরাদ্দ, ইত্যাদি তথ্য লেখা আছে। অথচ সেই মতো কাজ শুরু হয়নি। গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে এই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার জন্য রাস্তার ধারে স্টোনচিপস, বোল্ডার, বালি ইত্যাদি ফেলে রাখা আছে। কিন্তু ১৫ দিন পরও কাজ শুরুর কোন লক্ষণ নেই।
এই বাইপাস রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে খাল। তার দু’ধারে রাস্তা। একটি আসার অপরটি যাওয়ার। বারুইপুর যাওয়ার রাস্তার অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। বিশেষ করে বাইক চালকদের কাছে সেটা যেন মৃত্যুফাঁদ। বড় বড় গর্ত, আশপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ছোট বড় পাথর। ফলে কোনওরকম এধার ওধার হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন চালকরা। বৃষ্টিতে গর্তগুলি জলে ভরে একেকটি ছোটখাট পুকুরে পরিণত হয়।
ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক বাইক আরোহী বললেন, একটা সময় ছিল ধর্মতলা থেকে আধঘণ্টায় বারুইপুর পৌঁছে যাওয়া যেত। কামালগাজি ফ্লাইওভার থেকে নেমে বাইপাস ধরলেই নিমেষে পৌঁছে যেতাম গন্তব্যস্থলে। কিন্তু, যতদিন গিয়েছে, এই রাস্তার হাল ক্রমশ খারাপ হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করা যায় না। খুব প্রয়োজন না পড়লে এই রাস্তা এড়িয়ে চলতে হয়। যাত্রী নামাতে আসা এক ট্যাক্সি চালকের বক্তব্য, যাত্রী ছাড়তে এসে এখানে সমস্যায় পড়তে হয়। কয়েকবার যন্ত্রাংশ ভেঙেও গিয়েছে। তাই এখান দিয়ে যাতায়াত বিপজ্জনক। এই রাস্তা এখন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।
গড়িয়া থেকেও বারুইপুর যাওয়ার জন্য আরও একটি রাস্তা রয়েছে। কিন্তু সেই রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি থাকায় যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া সময়ও বেশি লাগে। সে কারণেই সাধারণ বাইক ও গাড়ি চালকরা দক্ষিণ বাইপাস ব্যবহার করতেন। ওই বাইপাসের দুই ধারে গড়ে উঠেছে একাধিক অভিজাত আবাসন। তার সামনের রাস্তার এই হাল দেখে অনেকেই বেশ ক্ষুব্ধ। লকডাউনের আগে একবার রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ হয়েছিল। তারপর আর কোনও অগ্রগতি হয়নি। জুলাই মাসের শুরুর দিকে ফের এই রাস্তা সংস্কারের সূচনা হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তারপরও কেন যে কাজ শুরু হচ্ছে না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।