কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ঘূর্ণিঝড়ে কুলতলির মাতলা নদীর এই এলাকায় আড়াই কিমি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর মধ্যে আবদুল্লার ঠেক থেকে চিতুরির মুখ পর্যন্ত প্রতিদিনই মাটি ধসে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। ঝড়ের সময় স্কুলবাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, এখনও ধ্বংসলীলার চিহ্ন রয়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের বাড়ির কাছে নিচুজমিতে পচা জল জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাড়ির মধ্যে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আছে। অনেকের ঘর মেরামতের কাজ চলছে। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেল বাসিন্দাদের অভিযোগই ঠিক। সেচদপ্তর থেকে বস্তা, বাঁশ দিয়ে বাঁধের পাইলিং করা হলেও অনেক জায়গায় পাড়ের মাটি ধসে পড়ে যাচ্ছে।
বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভরা কোটালে জল বাড়লেই ভাঙতে শুরু করবে এই অস্থায়ী বাঁধ। তখন বস্তা আর টিকবে না। গ্রামের ভেতরে জল ঢুকবে। লকডাউনের পর মেরামতের কাজ হচ্ছে, আবার কোনওসময় কাজ বন্ধ থাকছে। এতেই ভয় বাড়ছে লোকজনের। ঝড়ের পর বাঁধে ধসের খবর পেয়ে এলাকায় এসেছিলেন সাংসদ থেকে সেচবিভাগের বাস্তুকার সহ অন্য আধিকারিকরা। বাসিন্দারা জানান, পরিদর্শনের কিছুদিন পরেই জোরকদমে মেরামতের কাজ শুরু হয়। বাঁধ সংলগ্ন প্রায় ২৫ হাজার মিটার রাস্তা সংস্কার করা হলেও জোড়াতাপ্পি দিয়ে বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। আমরা অনেকদিন ধরেই কংক্রিটের স্থায়ী বাঁধের দাবি জানিয়েছি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০০৯ আইলাতেও বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল এই জায়গায় পাকা বাঁধ নির্মাণ হবে। কিন্তু কয়েক বছর ঘুরলেও সেই কাজ হয়নি। সারাবছর ভয় নিয়েই নদীর পাড়ে আমাদের দিনযাপন করতে হচ্ছে। যদিও কুলতলির সেচদপ্তরের অতিরিক্ত বাস্তুকার অরূপ টিকাদার বলেন, বাঁধ নির্মাণের জমিই পাওয়া যায়নি। তাই কাজ করা যায়নি। তবে এখন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পাইলট প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে সমস্যা হবে না।