গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রবিবার ভোরবেলা মুচিপাড়া এলাকায় একটি পার্কের মধ্যে আট মাসের শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ‘ম্যাজিস্টেরিয়াল ইনকোয়েস্ট’ করানো হয়। জানা যায়, তার শরীরে কোনও যৌন নিপীড়নের চিহ্ন নেই।
এদিকে, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দেওয়ায় তা বেশ ভাবাচ্ছে অফিসারদের। ওই পার্কের দু’টি গেট তালা বন্ধ ছিল। পার্কের চারিদিক লোহার রড দিয়ে ঘেরা। সেখানে কাউকে ঢুকতে গেলে তা টপকে ঢুকতে হবে। কিন্তু তার আগে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো একটি ধাপ রয়েছে। এখানে এসে লোহার
রড-এর উপর উঠতে হবে। সেটি টপকে তবে পার্কের ভিতর পৌঁছনো সম্ভব। অফিসারদের বক্তব্য, আট মাসের শিশুর পক্ষে মাটি থেকে ওই উঁচু জায়গায় ওঠা সম্ভব নয়। ওই জায়গায় না উঠলে লোহার রড টপকানোও অসম্ভব। ওই শিশু হামাগুড়ি দিয়ে গেটের কাছে আসার পর ফাঁক গলে ভিতরে ঢুকে পড়তে পারে, এমন কোনও প্রমাণও মেলেনি। অফিসারদের বক্তব্য, কোনওভাবে পার্কের মধ্যে ঢুকে পড়লেও তার পক্ষে হামা দিয়ে নেতাজি মূর্তির কাছ অবধি পৌঁছন খুবই শক্ত। নেতাজি মূর্তির পিছনে যে জায়গায় তাকে পাওয়া যায়, সেটিও বেশ উচু। আট মাসের একজন শিশুর পক্ষে কোনভাবে অত উচুতে ওঠা সম্ভব নয়। তাই দুর্ঘটনা কীভাবে
ঘটল, তার উত্তর এখনও মিলছে না। শিশুটি নিজে নিজে দুর্ঘটনা ঘটাল, এমন কোনও প্রমাণও মিলছে না।
অফিসারদের অনুমান কেউ তাকে তুলে নিয়ে লোহার রড টপকে ভিতরে ঢুকে থাকতে পারে। এরপর শিশুটিকে ছুড়ে ফেলা হয় নেতাজি মূর্তির পিছনে। ফুটপাত থেকে তোলার পর বাইরে থেকে পার্কের ভিতর তাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অফিসাররা। সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি তলিয়ে দেখতে একটি পুতুল বাইরে ফুটপাত থেকে পার্কের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে পরীক্ষা করে দেখা হয়, সেটি কতদূর যাচ্ছে। আসলে দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল সেটাই ভালো করে জানতে চাইছেন অফিসাররা। তবে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট কী আসে, তার উপর তদন্তের গতিপ্রকৃতি অনেকটা নির্ভর করছে। এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছেন অফিসাররা। রাস্তার সিসিটিভি’র ফুটেজ দেখে জানার চেষ্টা হচ্ছে, ভোরবেলা ওই ফুটপাতের সামনে কেউ ঘোরাঘুরি করছিল কি না। পাশাপাশি শিশুটিকে ফুটপাতে মায়ের কাছ থেকে তোলার পর ভিতরে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে, এরকম ফুটেজই অফিসাররা খুঁজছেন।