পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গ্রামের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে মাছ আর কাঁকড়ার উপর। জালে মাছ উঠলে তবেই চলে পেট। কাঁকড়াও ভাত জোগাড়ের অন্যতম উপকরণ। তাই দু’বেলাই মাতলা চষে বেড়ায় লোকজন। তবে মনে শান্তি নেই। স্থলে-জলে সব জায়গাতেই আতঙ্ক। বনবিবির পুজো দিয়ে তবেই সকালে ঘর ছাড়েন মৎস্যজীবীরা। ঘরে না ফেরা পর্যন্ত উদ্বেগ কাটে না ঘরের মানুষের। কাটবেই বা কী করে? এই তো, দিন পনেরো-কুড়ি আগে এই গ্রামেরই বাসিন্দা গোষ্ঠ নাইয়াকে টেনে নিয়ে গিয়েছে বাঘ। কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে গোষ্ঠ নাইয়ার ঘটনার পর আতঙ্ক যেন কাটছেই না। নাইয়াপাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, সকলের চোখেমুখেই আতঙ্ক। কখন যে বাঘ মাতলা সাঁতরে এপারে চলে আসবে, কে জানে! গ্রামবাসীদের কথাতেই এই বিস্ময় ঝরে পড়ল। তাঁদের কথায়, সন্ধ্যার পর এখন আর কেউ বাড়ির বাইরে বের হয় না। মাঝে মাঝেই শোনা যায় বাঘের ডাক। রাতে সেই আওয়াজ হাড় হিম করে দেয়। আতঙ্ক কাটাতে গ্রামের লোকজনই বাজি-পটকা ফাটাচ্ছে, রাত পাহারা দিচ্ছে। গোরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি যাঁদের বাড়িতে রয়েছে, তাঁরা পড়েছেন আরও বিপদে। রাতে বাইরে রাখতে পারছেন না এই প্রাণিদের। পাছে বাঘ টেনে নিয়ে যায়!
নদীর পাড়ে যে নাইলনের জাল ছিল, উম-পুনের ধাক্কায় তা ফর্দাফাই। মেরামতের কাজ শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। অনেকটা অংশই ফাঁকা। এতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বনদপ্তর সবটাই জানে। কুলতলির বিট অফিস থেকে জানানো হয়েছে, নাইলনের জাল লাগানো হলেও নাইয়াপাড়ার দিকের অংশে গ্রামবাসীরাই তা কেটে দিয়ে জঙ্গলে ঢোকার রাস্তা বানিয়েছে। আধিকারিকরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন। মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র