গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরসভার হিসেব বলছে, গত ২২ মে সম্পত্তি কর বাবদ কোষাগারে জমা পড়েছিল মাত্র ৩০ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ দু’মাসে অর্থাৎ জুন এবং জুলাইতে এক ধাক্কায় প্রায় ৯ গুণের কাছাকাছি বেড়েছে সম্পত্তি কর আদায়। বর্তমানে পুরসভার মূল কার্যালয়ের বাইরে ও শহরে ২০টি সেন্টারে কর আদায় পরিষেবা চালু হয়েছে। পাশাপাশি খোলা আছে অনলাইন পেমেন্ট সার্ভিস। তাতে নাগরিকরা কর প্রদান করতে শুরু করেছেন।
পুরসভা সূত্রে খবর, ২৮ জুলাই পর্যন্ত সম্পত্তি কর খাতে জমা হয়েছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকার কিছু বেশি। এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, গত ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষের মে মাসের শেষের দিকে এই আদায় ছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে (২০২০-’২১) ওই একই সময়ে লকডাউন থাকায় কোষাগারে জমা পড়েছিল মাত্র ৩০ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে গত অর্থবর্ষে (২০১৯-২০) জুলাই মাসের শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩৭ কোটি। সেই অনুপাতে চলতি অর্থবছরে জুলাই মাসের শেষে ২৬০ কোটি টাকা তুলনামূলক কম। কিন্তু সবকিছু বন্ধ থাকায় অনলাইনে যেখানে মাত্র ৩০ কোটি টাকা জমা পড়েছিল, সব ধরনের পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুর দু’মাসের মাথায় সেটা অনেকটাই বেড়ে ২৬০ কোটি টাকা হয়েছে। কর প্রদানের প্রবণতা আবার ফিরে আসছে, সেটাই স্বস্তি দিচ্ছে পুরকর্তাদের।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম দায়িত্বশীল নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যাঁরা সততার সঙ্গে কর দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মানুষ কর নিজে থেকেই দেন, সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কর বৃদ্ধির বিপক্ষে। অফিসারদের একাংশের গাফিলতিতে সমস্যা রয়েছে। কোথাও নাগরিক কর দিতে চাইছেন, কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় তা নেওয়া হচ্ছে না। সেইগুলি আমি দেখতে বলেছি। সেই অফিসারদের গাফিলতি বন্ধ করে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে কোষাগারের হাল খারাপ হওয়ার দরুন রাজ্য সরকারের অর্থসাহায্যে কর্মীদের বেতন সহ পুরসভার অন্যান্য খরচ চালানোর ব্যবস্থা করেছিলেন ফিরহাদ। চলতি মাসেও সেই খাতে টাকা রয়েছে। কিন্তু বারবার হাত পাতা সম্ভব নয়। তাই আধিকারিকদের সম্পত্তি কর আদায়ে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফিরহাদ।