বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
‘ক্লিনিকাল স্পেকট্রাম অব কোভিড-১৯ ইন ইন্ডিয়ান সিনারিও’ শীর্ষক সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে গত মে মাসে। মূলত পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি নিয়েই গবেষণা করার লক্ষ্যে মার্চ-মে মাসে প্রায় দু’মাস ধরে এই সমীক্ষা চালানো হয়। ৬৫ জন পুরুষ, ৩৫ জন মহিলা—মোট ১০০ জন আক্রান্তকে মোট চারভাগে ভাগ করা হয়। ৩২ জনের বয়স ছিল ৫০ বা তার থেকে বেশি। দেখা যায়, রোগীদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন উপসর্গহীন। শতকরা হিসেবে সংখ্যাটা ২০ শতাংশ। আবার ২২ শতাংশ রোগীর খুবই কম উপসর্গ দেখা গিয়েছে। যেমন, জ্বরের নামগন্ধ নেই। হাঁচি-কাশি আছে। এদের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। বাড়তি কোনও পরিশ্রম, ওষুধ ব্যবহার করতে হয়নি। অক্সিজেন থেরাপি, ভেন্টিলেশনে রাখা, এসবও করতে হচ্ছে না। এঁরা প্রত্যেকেই স্বাভাবিক নিয়মে সেরে উঠছেন। শুধু পরিচর্যায় রাখতে হয়েছে। বাকিদের মধ্যে মাঝারি মাত্রার উপসর্গ, যেমন জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা ডায়ারিয়া দেখা গিয়েছে। এমন রোগীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ। তাঁদের মধ্যেও ৪৪ শতাংশ সেরে উঠেছেন শুধু নিয়মিত পরিচর্যা, হাউড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহারে। তবে কোমরবিডিটি ছিল এবং উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদেরই এই ওষুধ দেওয়া হয়েছে। মাঝারি উপসর্গযুক্তদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশের পরিস্থিতি সঙ্কটজনক দিকে গিয়েছে। বাকি ৮ শতাংশের সমস্যা অনেকটাই জটিল ছিল। তাঁদের অক্সিজেন থেরাপি এবং ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে। মাঝারি উপসর্গের রোগীরা ২ সপ্তাহের মধ্যেই সেরে উঠেছেন। সঙ্কটনজনক রোগীদের ক্ষেত্রে লেগেছে ৩ থেকে ৬ সপ্তাহ। এই সমীক্ষায় রাখা হয়েছিল ন’মাসের এক শিশুকেও। দেখা গিয়েছে, শিশুরা দ্রুত সেরে উঠেছে। কোমরবিডিটি থাকা রোগীদের ক্ষেত্রেই যাহতীয় সমস্যা দেখা গিয়েছে।
সমীক্ষা প্রসঙ্গে রাজ্যের করোনা যুদ্ধের অন্যতম সৈনিক, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ যোগীরাজ রায় বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে ৮০ শতাংশ করোনা রোগীৱ তেমন কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না। স্বাভাবিক নিয়মেই তাঁরা সুস্থ হয়ে যান। বাকি ২০ শতাংশ রোগীর মধ্যে ১০ শতাংশ অক্সিজেন থেরাপিতে সেরে ওঠেন। ৮ থেকে ৯ শতাংশের ক্ষেত্রে একটু বেশি মাত্রায় বা হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা মাধ্যমে অক্সিজেন দিতে হয়। মাত্র এক থেকে দুই শতাংশের ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন পড়ে। সুতরাং অহেতুক উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।’