বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মগরাহাট-সূর্যপুর খালের উপর শতাধিক বছরের পুরনো সূর্যপুর সেতু। এটি কুলপি রোডের উপর অবস্থিত। কংক্রিটের এই সেতু লম্বায় ১৭ মিটার, চওড়ায় ছ’ মিটার। অন্যদিকে, বারুইপুর-ক্যানিং রোডের উপর পিয়ালি-ডাবু খালের উপর উত্তরভাগ সেতু। যা প্রায় ৪১ মিটার লম্বা ও সাত মিটার চওড়া। দুটি সেতুই অতি বিপজ্জনক বলে জানিয়েছে রাইটস। প্রতিদিন সেতু দুটি দিয়ে ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। সূর্যপুর সেতু পেরিয়েই যেতে হয় জয়নগরের দিকে। সেখান থেকে জেলার অন্যান্য জায়গায়ও যাওয়া যায়। উল্টোদিকে বারুইপুরে আসতে হলে ওপারের মানুষের এই সেতুই ভরসা। আবার সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিংয়ে যেতে হলে উত্তরভাগ সেতু ধরেই যেতে হয়। জানা গিয়েছে, সূর্যপুর সেতুর কাছেই প্রতিদিন হাট বসে। তার জন্য প্রচুর সংখ্যক পণ্যবাহী গাড়ি আসে। ফলে সকাল থেকেই যানজট লেগে থাকে সেতুতে। দেখা গেল, সেতু দিয়ে কোনও ভারী গাড়ি গেলেই কেঁপে উঠছে কংক্রিট। সূর্যপুর সেতুর দু’দিকেই মূল প্রাচীরের গায়ে বাঁশের ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। আবার উত্তরভাগ সেতুতে সিমেন্টের বিমের গায়েই ফাটল। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দুটি সেতুতে চলছে যাতায়াত। আশপাশের দোকানদার থেকে স্থানীয় মানুষ সকলেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। সাধারণ বাসিন্দাদের অভিযোগ, সূর্যপুর সেতু একবছর আগে কাজের জন্য বন্ধ করা হলেও কোনও কাজ হয়নি। আর উত্তরভাগ সেতুটি সাত মাস আগে মেরামত করলেও এরমধ্যে বেহাল হয়ে পড়েছে। এত খারাপ অবস্থা সত্ত্বেও ভারী গাড়ি উঠছে কেন, প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রেখেছে স্থানীয় লোকজন।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সেতু দুটি বন্ধের কথা এখনও জানানো হয়নি। তবে বন্ধ হলে সূর্যপুর সেতুর বিকল্প রাস্তা আছে। এই সেতুর পশ্চিম দিকে টেকা মৌজায় আরও একটি কংক্রিটের সেতু আছে। তখন ওই সেতু দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে সূর্যপুর হাটের পাশ দিয়ে কুলপি রোডে উঠতে হবে। আর উত্তরভাগ সেতুর জন্য বিকল্প রাস্তার কথা ভাবা হচ্ছে। পূর্তদপ্তর সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, সূর্যপুর সেতুর নীচের অংশে রড বেরিয়ে গিয়েছে। আর উত্তরভাগের কিছু জয়েন্টের স্ল্যাব সরে গিয়েছে। বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি এনিয়ে পূর্তদপ্তরের সাথে কথা বলব। নিজস্ব চিত্র