বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
নৈহাটির বিধায়ক প্রথম অ্যাম্বুলেন্স প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। তাঁকে সমর্থন করেন বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। সকলেই বলেন, অ্যাম্বুলেন্স একেবারেই অমিল। রোগী বা তাঁর পরিজনরা বারবার ফোন করেও কোথাও অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছেন না। তাঁরা জনপ্রতিনিধিদের কাছে দরবার করছেন। কিন্তু সেই জনপ্রতিনিধিরাও হতাশ হচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে।
বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনায় দু’টি স্বাস্থ্য জেলা। বারাসত-বারাকপুর এবং বসিরহাট। এদিন বৈঠকে স্থির হয়েছে, বারাসত-বারাকপুরে বর্তমানে ৮০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আরও ১০টি বাড়ানো হবে। অন্যদিকে, বসিরহাটে রয়েছে ৩০টি। সেখানেও একই সংখ্যায় বৃদ্ধি করা হবে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, অ্যাম্বুলেন্স সত্যিই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক চালকই নিরাপত্তাকে ইস্যু করে যেতে চাইছেন না। এমন অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিন বৈঠকে আরও একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হল, হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, বারাকপুরের বলরাম সেবা মন্দিরকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে যুক্ত করা হবে। এছাড়া জেলায় ছিল ১৭টি সেফ হাউস। আরও ১৩টি নতুন তৈরি করা হবে। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুরের পুর প্রশাসক প্রস্তাব দেন, তাঁর এলাকায় ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। সেখানকার মালিক চান সেটি সেফ হাউস করতে। জেলাশাসক তা মেনে নিয়েছেন এবং প্রশাসনের প্রতিনিধিরা তা দেখতে যাবেন।
দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কোভিড রোগীরা যেন কোনওভাবে ভোগান্তির শিকার না হন। তার জন্য পুরসভার কো-অর্ডিনেটর থেকে জেলা প্রশাসন, পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিধায়ক, সাংসদ প্রত্যেকের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। এরপরই স্থির হয়, এই সমন্বয়ের জন্য একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে। যেখানে কারও এলাকায় কেউ আক্রান্ত হলে, তার বিস্তারিত তথ্য সেখানে জানানো হবে। তারপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও হাসপাতালগুলিতে কোভিড বেড কত খালি হচ্ছে, কত ভর্তি হচ্ছে, তাও সপ্তাহের শেষে ওই গ্রুপে জানানো হবে।
কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সুবিধা না পাওয়ার বিষয়টি বৈঠকে ওঠে। ঠিক হয়েছে, আগে একটি নম্বর দিয়ে সাতটি ফোনে ফোন করা যেত। এখন তা দশটি করা হবে। শ্মশানে কোভিডের মৃতদেহ সৎকার করার বিষয়টিও বৈঠকে উঠে আসে। যা শুনে জেলাশাসক বলেন, সব শ্মশানেই কোভিড রোগীর দাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি, পুলিস কর্তাদের তিনি আরও বেশি করে নজরদারি এবং কড়া পদক্ষেপ করতে বলেন। বাজারগুলি নিয়েও আরও সতর্ক হতে বলেন।