বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
সারা বছরই কোথাও না কোথাও ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের পাইপ ফেটে যায় বা মাটি খুঁড়ে কেবল পাতার কাজ চলে। সেই পাইপ সারাতে গেলে খুঁড়তে হয় রাস্তা। কিংবা ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালায় সমস্যা দেখা দিলে সেই কাজ করতেও কাস্তা খুঁড়তে হয়। এমনিতেই রাস্তা ভাঙাচোরা, তার উপর খোঁড়াখুঁড়ি চললে তো আর কথাই নেই। এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, পুরভোটের আগে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও, লকডাউনের জেরে সব কিছুই লাটে উঠেছে। তারপর আনলক পর্ব শুরু হলে ফের কাজে হাত দেওয়া হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় শ্রমিক নিয়ে। কারণ, শ্রমিকদের অনেকেই বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। ট্রেন না চলায় তাঁরা বাড়ি থেকে ফিরতে না পারায় লোকবলের অভাব দেখা দেয়। তার সঙ্গে আর্থিক সমস্যা তো রয়েছেই।
তার উপর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জল জমে অনেক জায়গাতেই রাস্তার হাল আরও খারাপ হয়েছে। রাজপথ থেকে অলিগলি—সর্বত্র এক পরিস্থিতি। এখন বর্ষায় পুরোদমে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, পুজোর আগে সেইসব রাস্তা মসৃণ করতে তৈরি হচ্ছে প্রজেক্ট রিপোর্ট। পুরসভা সূত্রে খবর, এই কাজের জন্য প্রয়োজন আনুমানিক ৩০-৩৫ কোটি টাকা। যদিও ধাপে ধাপে সেই টাকা খরচ হবে। প্রয়োজনে আরও টাকা লাগতে পারে বলেই মনে করছেন পুরসভার কর্তারা। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুর-কোষাগারের হাল খারাপ থাকায় সেই টাকা পেতে সমস্যা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন অংশে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অল্পবিস্তর কাজ শুরু হয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চলছে প্যাচওয়ার্ক। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এস পি মুখার্জি রোড, হরিশ মুখার্জি রোড, শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিট, এ জে সি বোস রোডের কিছুটা অংশ, এন এস সি বোস রোড, এম জি রোড, মতিলাল গুপ্ত রোড সহ ১৮-২০টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খানাখন্দ ভরাটের কাজ হয়েছে। কাজ চলছে এস এন ব্যানার্জি রোড ও রমেশ গুপ্ত স্ট্রিটে। সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রতন দে বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও পুজোর আগে সব রাস্তা সংস্কার করা হবে। প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে।