বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মন্দির চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, প্রবেশ পথের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা। এমনকী, ডালা আর্কেডে ঢুকতে গেলেও ওই ব্যারিকেডের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। মন্দির চত্বরে ঢোকার পর ব্যারিকেডের মুখেই রয়েছে একটি স্যানিটাইজার চ্যানেল। মন্দিরে প্রবেশের আগে সিকিউরিটি পোস্টের কাছেও আরও একটি চ্যানেল করা হয়েছে। সেখানে দর্শনার্থীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। শরীর এবং জামাকাপড় জীবাণুমুক্তকরণ করা হচ্ছে। কুশলবাবু জানালেন, একেবারে নির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনেই এই দু’টি চ্যানেল বসিয়েছি। যাতে দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি যথোপযুক্ত থাকে। চ্যানেলগুলির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুলিসকর্মী বললেন, সকালে ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেলে সাড়ে ৩টে থেকে ৬টা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকছে। সকালের দিকে দর্শনার্থী থাকেন না বললেই চলে। বিকেলে তাও দেখা যায়। তবে খুবই কম। যেখানে আমরা দর্শনার্থীদের শরীর তল্লাশি করতে গিয়ে খাওয়ার সময় পেতাম না, এখন বসে থাকলেও সময় কাটছে না। রীতিমতো বিরক্ত হয়ে উঠছি। মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল একজন দর্শনার্থী পুজো দিচ্ছেন। এক পুরোহিত বললেন, মায়ের দরজা প্রত্যেকের জন্য খোলা। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মায়ের কাছে কেউ এসে পৌঁছতে পারছেন না।
মন্দিরের বাইরে ডালা আর্কেডে প্রায় প্রত্যেক দোকানিরই মাথায় হাত। মোট ৫৮টি দোকান রয়েছে। দিনপ্রতি একটি অন্তর একটি করে মোট ২৯টি করে দোকান খোলা থাকছে। সেখানকার এক কর্মী বললেন, দিনে ৩০ টাকা করে স্টল ভাড়া দিতে হয়। এছাড়াও রয়েছে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের খরচ। প্রসাদ যে কর্মী তৈরি করছেন, তাঁর পারিশ্রমিক। অথচ, এখন দিনে ১০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে না। আগে ১২-১৩ হাজার ক্রেতা এই আর্কেডে আসতেন নিত্যদিন। করোনা আমাদের একেবারে মাটিতে বসিয়ে দিয়েছে। এখন একজন দর্শনার্থী এলে প্রায় প্রত্যেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। যদি সামান্য কিছু পাওয়া যায়। একই অবস্থা রাস্তার খাবারের দোকানগুলিরও।
দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা সংস্থার এক পদস্থ কর্মী বললেন, দিনে ২৫০ গাড়ি আসত গড়ে। শনি-রবি আরও বাড়ত। এখন তো দিনে ১০টি গাড়িও আসে না। পার্কিংয়ের কর্মীদের কোথা থেকে বেতন দেব, সেটাই চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজস্ব চিত্র