বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জয়নগরের ধোসা হোগলডহরি গ্রামের বাসিন্দা উত্তম নস্কর জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে গত ২৬ জুলাই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিনই তাঁর করানো পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্রহ করা হয়। সেই রিপোর্ট আসার আগেই মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে লেখাও হয়। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ বারুইপুরের কীর্তনখোলা মহাশ্মশানে মৃতদেহ দাহ করতে নিয়ে আসে পরিবার। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট দেখার পর শ্মশান কর্মীরা মৃতের করোনা সার্টিফিকেট দেখতে চান। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়, রিপোর্ট আসেনি। আর তা শুনেই দেহ দাহ করতে অস্বীকার করে শ্মশান কর্তৃপক্ষ। করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত দাহ করা যাবে না বলে পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় টানাপোড়েন। মৃতের পরিবার বলে, রিপোর্ট না এলে কী করা যাবে! তাছাড়া মৃত্যুর কারণ তো নিউমোনিয়া। অন্যদিকে, শ্মশান কর্মীদের বক্তব্য, মৃতের করোনা সংক্রমণ যদি থাকে, সেই দেহ ধরে সৎকার করতে নিয়ে গেলে আমাদেরও অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাছাড়া আমাদের পিপিই কিট নেই, তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। এসবের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পড়ে থাকে মৃতদেহ। খবর পেয়ে সেখানে আসে বারুইপুর থানার পুলিসও। শেষ পর্যন্ত পুরসভার প্রশাসক শক্তি রায়চৌধুরীর নির্দেশে দেহ সৎকারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে শ্মশান কর্মীরা কেউ দেহ ধরেননি। তাদের পরামর্শক্রমে উত্তমবাবুর বাড়ির লোকজনই দেহটি বিদ্যুৎ চুল্লির চ্যানেলে তুলে দেন। শক্তিবাবুর বক্তব্য, মানবিকতার খাতিরে দেহ সৎকার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে কিছুটা আতঙ্কে আছেন ওই শ্মশান কর্তৃপক্ষ। কারণ ওই মৃতের করোনা রিপোর্ট যদি পজিটিভ আসে, তাহলে গোটা শ্মশান বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।