বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে থেকেই বলে এসেছেন, যে করেই হোক করোনার চেন ভাঙতে হবে। সেই লক্ষ্যেই একটানা লকডাউন এবং পরবর্তী সময়ে সাপ্তাহিক লকডাউনে গিয়েছে রাজ্য। মঙ্গলবার তিনি নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্টই জানিয়েছেন, আগস্ট মাসে সব মিলিয়ে মোট সাতদিন এভাবেই সম্পূর্ণ লকডাউন হবে রাজ্যে। বুধবার যেভাবে রাজ্যবাসী এই লকডাউনে সাড়া দিয়েছেন, তাতে আগামী দিনে করোনার চেন ভাঙার কাজ অনেকটাই সফল হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। নবান্ন জানিয়ে দিয়েছে, আগস্ট মাসে সম্পূর্ণ লকডাউন সফল করতে পুলিস ও প্রশাসন এদিনের মতোই সক্রিয় থাকবে। আইন ভাঙার চেষ্টা করলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। এরই পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোনে যে লকডাউন চলছে, সেখানেও এমনই কড়াকড়ি বজায় থাকবে। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে গোটা আগস্ট মাসই লকডাউন চলবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন কোথাও কোথাও উদাসীনতার ছবিও দেখা গিয়েছে। গ্রামের দিকে দু’-এক জায়গায় চায়ের দোকান বা পান-বিড়ির দোকান খোলা থাকায় বহু মানুষ সেখানে জটলা করেছেন। তা দেখা মাত্রই কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করেছেন কর্তব্যরত পুলিস আধিকারিকরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন অমান্য করায় এদিন কলকাতায় মোট ৭২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে সংখ্যাটা ৪ হাজার ১৪৫। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিনা কারণে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরনোর অভিযোগে কলকাতায় ৩৩টি গাড়িকে আটক করেছে পুলিস। মাস্ক নিয়ে রাজ্যজুড়ে এত প্রচার সত্ত্বেও কিছু মানুষ এখনও যে সম্পূর্ণ সচেতন হননি, তা এদিন পুলিসের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকেই পরিষ্কার। এদিন মাস্ক না পরার অভিযোগে শুধু কলকাতায় ৩৫২ জনকে আটক করেছে পুলিস। লকডাউন অমান্য করায় কোথাও কোথাও কান ধরে ওঠবোসও করিয়েছেন আইন-রক্ষকরা। তবে এই সব পরিসংখ্যান যে বার্তাই দিক না কেন, সবটাই হয়েছে বিক্ষিপ্ত আকারে। আগের লকডাউনের তুলনায় যা ছিল অনেকটাই কম।
এদিন সকাল থেকেই বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে দফায় দফায়। আকাশের মুখ ছিল ভার। স্বভাবতই পাড়ায় পাড়ায় আড্ডা বা গলির মুখে দল বেঁধে গল্প করার সুযোগ ছিল না এদিন। আগের দু’টি লকডাউনে কিছু কিছু জায়গায় এই প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও সেই সাধ অপূর্ণ থেকেছে তরুণ প্রজন্মের। পাশাপাশি এদিন বাজার-হাট, গণপরিবহণ সবই ছিল বন্ধ। একেবারে শুনশান অবস্থা। একমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত লোকজন বেরিয়েছিলেন। তবে কোথাও কোথাও তাঁদের পুলিসি কৈফিয়তের সামনে পড়তে হয়েছে। প্রমাণপত্র দেখিয়ে অবশ্য ছাড় পেয়েছেন তাঁরা।