বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জগৎবল্লভপুরের মাজু ও গোবিন্দপুর অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দক্ষিণ মাজু এলাকায় কানা নদীর উপরে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সূএে খবর, এই কাঠের সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন দুটি অঞ্চলের তিরিশ হাজার মানুষ যাতায়াত করা ছাড়াও ছোট যানবাহনও চলাচল করে। এমনকী মানুষের আপদে-বিপদে এই সেতুর উপর দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত চলে। যদিও কাঠের সেতুটির একদিকের রেলিং ভেঙে যাওয়া ছাড়াও একাধিক জায়গায় কাঠ ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে সেতুটির বিপজ্জনক অবস্থা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ৫০ ফুট লম্বা এই কাঠের সেতুটি বছর দু’য়েক আগে নতুনভাবে নির্মাণ করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি ভগ্নপ্রায় অবস্থায়। সেতুর উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় সেতুটির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। দু’টি অঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সেতুটি ভেঙে গেলে মানুষকে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যস্থলে যেতে হবে। অবিলম্বে সেতুটি মেরামত না করা হলে যে কোনওদিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটবে বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দক্ষিণ মাজুর ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতুর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শেখ মহম্মদ এব্রাহিম (গোরা)। তিনি জানান কাঠের সেতুটির পরিবর্তে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন ঢালাই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই মতো টাকা বরাদ্দ ছাড়াও মাটি পরীক্ষা করার কাজ শেষ। যদিও করোনা সংক্রমণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করে ঢালাই সেতুর কাজ শুরু হবে। শুধু দক্ষিণ মাজুর সেতু নয়, নলদায় থাকা আরও একটি কাঠের সেতুর পরিবর্তে ঢালাই সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানান সহ সভাপতি। তবে ঢালাই সেতু নির্মাণের আগে দ্রুত কাঠের সেতুটি মেরামত করার আশ্বাসও দেন তিনি। ভগ্ন কাঠের সেতু দিয়ে এভাবেই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত। -নিজস্ব চিত্র