বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
ঘটনাটি রিষড়া পুরসভা এলাকার। করোনাপর্বে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে এই পুরসভার কর্মীদের। তবে ওই গৃহস্থের বাড়িতে পুরকর্মীরা এনিয়ে বহুক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। তাঁরা গৃহবধূর বিকল্প হিসেবে কে কে হাসপাতলে যেতে প্রস্তুত, তাঁদের নাম একে একে বলে যেতে থাকেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, গৃহবধূকে ছেড়ে দিন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য যাকে পছন্দ বেছে নিন। পুরকর্মীরা উপসর্গযুক্ত অসুস্থকেই নিয়ে যাবেন জানাতেই হুলুস্থুল বেধে যায়। গৃহবধূকে ঘরে আটকে রাখার চেষ্টাও চলে। শেষ পর্যন্ত পরিবারের কাছ থেকে একরকম ছিনিয়ে নিয়েই ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়। ঘটনার সাক্ষী পুরসভার করোনা বিষয়ক নোডাল অফিসার অসিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিষয়টা ভুলতে পারছি না। রান্না হবে না বলে করোনা আক্রান্ত স্ত্রী-কে হাসপাতালে পাঠাতে আপত্তির কথা কানে বাজছে। করোনা আক্রান্তের বাড়িতে থাকাই বিপজ্জনক। রান্না করবে কে, সেই ভাবনাই বোধহয় ওদের সমস্ত আতঙ্ক ভুলিয়ে দিয়েছিল।
করোনাপর্বে নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে রিষড়া পুরসভার কর্মীদের। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাড়ি ছেড়েই পালিয়ে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও হদিশ মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত ময়দানে নামতে হয় সেই পুলিসকেই। পরিবরের লোকেদের গ্রেপ্তার করার ভয় দেখাতেই ফিরেছিলেন আক্রান্ত। নানা ঝক্কি পুরকর্মীদের সামাল দিতে হচ্ছে। কিন্তু রান্না করা হবে না বলে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে বাড়িতে রাখতে চাওয়ার প্রস্তাব! কিছুতেই তাঁরা সে-কথা ভুলতে পারছেন না।
রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প ‘শাস্তি’তে বউদির হত্যার দায় নিরপরাধ চন্দরাকে নিতে বলেছিল তার স্বামী। চঞ্চল স্বভাবের চন্দরা সেদিন হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। অভিমানী চন্দরা সুযোগ থাকলেও নিজের স্বপক্ষে একটি কথাও বলেননি। করোনা আবহে রিষড়া শহরের সেই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর প্রস্তাবে মনে মনে কী ভেবেছিলেন, জানতে পারেনি কেউ। তবে স্বামীর প্রস্তাবে তাঁকেও হতবুদ্ধি হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখেছিলেন পুরসভার কর্মীরা।