নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউনে বন্ধ ছিল যাত্রীবাহী বিমান চলাচল। ওঠানামা করেছে শুধুমাত্র পণ্যবাহী বিমান। এমনকী ছয় শহরের সঙ্গে কলকাতার উড়ানও বন্ধ রয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের পর তার দিনক্ষণ কি বর্ধিত হবে? এই প্রশ্ন এবার উঠতে শুরু করেছে। বুধবার সম্পূর্ণ লকডাউনে বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় শুনশান ছিল কলকাতা বিমানবন্দর চত্বর। ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরে নিজের বাড়িতে যেতে পারেননি মোর্তাজা আলি, জগদীশ দেবনাথ। মঙ্গলবার রাত বারোটা নাগাদ তাঁরা কলকাতায় নামেন। বুধবার সারা দিন তাঁদের বিমানবন্দরেই থাকতে হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা বাড়ি ফিরবেন। অন্যদিকে, আজই ভোরে পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার জন্য উড়ান ধরবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির বাসিন্দা আলতাব মোল্লা। কিন্তু বিমানবন্দরে আসার জন্য গাড়ি ঠিকমতো পাবেন কি না, সেই আতঙ্কে দেড় দিন আগেই চলে আসেন কলকাতায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে রয়েছেন। আবার লকডাউনের মধ্যে এদিন ভোরেই বিমানবন্দরে চলে আসেন পলতার বাসিন্দা বাপি বিশ্বাস। পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার জন্য বিমান এদিন বাতিল হয়েছে, সেই খবর তাঁর কাছে ছিল না বলে দাবি। এয়ারলাইন্স সংস্থা বৃহস্পতিবার তাঁর যাওয়ার টিকিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ফলে তাঁকেও দিনভর কাটাতে হয়েছে বিমানবন্দরে। লকডাউনের জেরে এদিন প্রায় পঞ্চাশটির মতো যাত্রীবাহী বিমান কলকাতা থেকে ছাড়েনি। আসেনি একটিও। তবে ১৯টি পণ্যবাহী বিমান যাতায়াত করেছে এদিন। এদিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে দিল্লি, মুম্বই, পুনে, নাগপুর, চেন্নাই ও আমেদাবাদ থেকে বিমান কলকাতায় না আসার দাবি জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই আবেদন মেনে নেয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। ছয়টি শহরের সঙ্গে কলকাতার উড়ান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। সেই সময়সীমা বর্ধিত হবে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল বৃদ্ধি পাচ্ছে এয়ারলাইনস সংস্থা ও যাত্রীদের মধ্যে। একটি সংস্থার আধিকারিক দেবজিৎ ঘোষ বলেন, রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউনের বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। কিন্তু ছয়টি শহরের সঙ্গে বিমান চলাচল চালু হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। লকডাউনে বাতিল হওয়া টিকিটের টাকা ফেরতের বিষয়ে যাত্রীরা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। একাধিক এয়ারলাইন্সের বক্তব্য, যাত্রীদের টাকা এক বছর পর্যন্ত জমা থাকবে। অন্য টিকিটে ‘অ্যাডজাস্ট’ করা হবে। তবে ট্যুর অপারেটরদের দাবি, সরকার এয়ারলাইন্সের উপর চাপ দিক, যাতে ওই টাকা যাত্রীরা টিকিট বাতিলের সঙ্গেই ফেরত পান।