পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হাওড়ার খড়িয়া ময়নাপুর হাইস্কুলের ছাত্র সৌহার্দ্য পাত্র ৬৮৭ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছে। তার স্বপ্ন বিজ্ঞানী হওয়া। ক্রিকেট খেলতে এবং গান শুনতে ভালোবাসে সৌহার্দ্য। আল আমিন মিশনের ছাত্র তামিম উদয়নারায়ণপুরের বেনুগোপালচক হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিকে বসেছিল। মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান পেয়েছে সে। চেতন ভগতের ভক্ত তামিম তাঁর সবক’টি উপন্যাসই পড়ে ফেলেছে। তার প্রিয় বিষয় জীববিদ্যা। বড় হয়ে নিউরোলজিস্ট হতে চায় সে। কারণ বিখ্যাত ব্রিটিশ নিউরোলজিস্ট ও লেখক অলিভার উলফ সাক্স তাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছেন।
হুগলির স্কুলগুলি থেকে মেধা তালিকায় রয়েছে মোট ন’জন। রাজ্যে যুগ্ম ষষ্ঠ এবং জেলায় প্রথম হয়েছে চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের ছাত্র সোহম দাস। গণিত নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছা রয়েছে তার। জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং রাজ্যে সপ্তম সুহা ঘোষ চন্দননগরের ফটিকগোরার বাসিন্দা। কৃষ্ণভামিনী বিদ্যালয় থেকে সে পরীক্ষা দিয়েছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকা এবং হাতের কাজেও পটু ছটফটে এই কিশোরী। বদনগঞ্জের সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ের সম্প্রীতি কুণ্ডুও যুগ্মভাবে সপ্তম হয়েছে। সে বড় হয়ে ডব্লুবিসিএস অফিসার হতে চায়। সম্প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চন্দননগরের এক ডব্লুবিসিএস অফিসারকে করোনার জেরে অকালমৃত্যুতে ঢলে পড়তে দেখেছে সে। তিনি হুগলির ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়। সম্প্রীতির এই ইচ্ছের পিছনে সেই ঘটনার প্রভাব থাকাও অসম্ভব নয়।
গৌরহাটি হরদাস ইনস্টিটিউশনের দিব্যকান্তি ঘড়ুই সপ্তম স্থান পেয়েছে। সে গবেষক হতে চায়। পুরশুড়া দেউলপাড়া হাইস্কুলের ছাত্র সুপ্রতিম পণ্ডিত অষ্টম স্থান পেয়েছে। তার লক্ষ্য সেরা প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া। পোলবার অদ্বিতীয়া পাণ্ডে দশম হয়েছে। চিকিৎসক হতে চায় সে। পাশাপাশি মহিলাদের উন্নতিতেও কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে তার। আরেক দশম স্থানাধিকারী তৃষা সরকার অবশ্য ভবিষ্যতের কোনও আগাম পরিকল্পনা করে রাখেনি। হাওড়ার বালির বাসিন্দা হলেও উত্তরপাড়া চিলড্রেন্স ওন হোমের ছাত্রী মেঘা মণ্ডল এবং উত্তরপাড়া মডেল স্কুলের ছাত্রী সাগ্নিক মুখোপাধ্যায় দশম স্থান পেয়েছে। মেঘা চিকিৎসক এবং সাগ্নিক ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।