পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মন্দিরবাজার ব্লকের অধীন ১০টি পঞ্চায়েত। লকডাউনের জেরে গ্রামের অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। একই অবস্থা হয়েছে ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদেরও। ১০০ দিনের কাজে যুক্ত করে প্রশাসন তাঁদের জীবিকার ব্যবস্থা করেছে। ব্লক সূত্রে খবর, প্রায় ৩৬ দিন করে ১৪ হাজার লোককে এই কাজ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলেই গ্রামীণ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে পঞ্চায়েতগুলিতে যাঁরা কাজ করতে ইচ্ছুক তাঁদের তালিকা তৈরি করা হয়। এঁদের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ও গ্রাম থেকে কলকাতায় কাজে যেতে না পেরে কাজ হারানোদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়ে যায় জোরকদমে কাজ। উম-পুনের জেরে সব পঞ্চায়েত এলাকাতেই পুকুর নষ্ট হয়েছে। মাছও মরেছে। তাই প্রথম পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু হয়। চুন-পটাশিয়াম যোগে পুকুর শোধন করা হয়। পরে মৎস্য দপ্তরের সহযোগিতায় পুকুরে প্রচুর পরিমাণে গাপ্পি মাছ ছাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের চারাপোনাও ছাড়া হয়।
ব্লকের ১০০ দিনের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থসারথি ভৌমিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ইতিমধ্যেই ব্লকে প্রায় ৩০১২টি পুকুর সংস্কার হয়েছে। এর মধ্যে নিশাপুর ও কেঁচারকুর পঞ্চায়েতে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে। ডেঙ্গুর আগাম প্রস্তুতির কথা ভেবে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। পুকুরের চারা মাছ বড় হলে তা বাজারজাত করে লাভ পাবে এলাকার মানুষ। একইসঙ্গে শোধিত পুকুরের জল চাষের কাজে ব্যবহার করে ফসল ফলানোও যাবে। তিনি আরও বলেন, ১০০ দিনের কাজে গ্রামের মানুষজনকে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পুনর্নির্মাণের কাজেও লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি উম-পুনে গাছও নষ্ট হয়েছে। তাই আগামীদিনে প্রতি পঞ্চায়েতে শ্রমিকদের যুক্ত করে প্রায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার গাছ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য গাছের অর্ডার দেওয়া হয়েছে সরকারি সংস্থাকে। শাল, মেহগনি সহ কলা, সুপারি, আম, পেঁপে, নারকেল, পেয়ারা গাছ বসানো হবে। ফলে গ্রামের মানুষ বাজারে ফল বিক্রি করেও চটজলদি আয়ের রাস্তা পাবে। কোন পঞ্চায়েত কত গাছ পাবে, তার তালিকা হচ্ছে। পাশাপাশি এই প্রকল্পেই ভারী বর্ষার আগে প্রতি পঞ্চায়েতে নতুন রাস্তা তৈরির পাশাপাশি বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজও হাতে নিয়েছে প্রশাসন। ব্লক সূত্রে খবর, আঁচনা পঞ্চায়েতে ১২টি রাস্তা কংক্রিটের করা হচ্ছে। পাশাপাশি ধনুরহাটে ৩২টি, নিশাপুরে ২১টি রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। ব্লকের এক আধিকারিক বলেন,আরও কর্মদিবস তৈরির লক্ষ্যে কাজ চলছে সর্বত্র।