কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সম্প্রতি এই মর্মে সার্কুলার জারি করেছেন পুর-কমিশনার বিনোদ কুমার। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বিভাগের কাছে পড়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাজের ফাইল ‘আর্জেন্ট’ হিসেবে ধরে সর্বোচ্চ দু’দিনের মধ্যে সই করে ছাড়তে হবে। কোনও বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকের টেবিলে দিন দুয়েকের বেশি কোনও ফাইল ফেলে রাখা চলবে না। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফাইল না-ছাড়লে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় আধিকারিককে কারণ দর্শাতে হবে।
উল্লেখ্য, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর অকারণে জরুরি ফাইল আটকে না-রেখে পুরসভার কাজকর্মকে আরও দ্রুততার সঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তৎকালীন পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ সেই নির্দেশ কার্যকর করেছিলেন। কোনও বিভাগ থেকে কোনও বিভাগের কাছে ফাইল গেলে নির্দিষ্ট তারিখ লিখে দেওয়া হতো। পাশাপাশি চালু হয়েছিল অনলাইন ব্যবস্থা, যা এখনও চলছে। সেক্ষেত্রে কোনও ফাইল পাওয়া থেকে ছাড়া পর্যন্ত পুরোটাই অনলাইনে ট্র্যাক করার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এতদিন মোটামুটি সপ্তাহখানেকের মধ্যে ফাইল ছাড়ার নিয়ম ছিল।
এবার সেই সময়সীমা আরও কমিয়ে দিন দুয়েক করে দেওয়া হল। পুরসভা সূত্রের খবর, অনেক ক্ষেত্রেই আধিকারিকরা গুরুত্বপূর্ণ কাজের ফাইল ফেলে রাখছেন। নানা অজুহাতে বিভিন্ন কাজ আটকে থাকছে। সেই সরকারি জটিলতা কাটাতেই আরও কড়াকড়ি করতে চাইছেন পুর-কমিশনার।
পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, সেভাবে বিচার করলে পুরসভার সব ফাইল গুরুত্বপূর্ণ। আলাদা করে বাছাইয়ের সুযোগ কম। স্বাভাবিকভাবেই তাই সব কাজের ফাইলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর। কলকাতা পুরসভা।