গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বাণীপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে রয়েছে সাহাপাড়া, সর্দারপাড়া, মোল্লাপাড়া। এসব জায়গায় ঘুরে দেখা গেল, প্রত্যেকটি ছোটখাট জলাশয়, নিকাশিখালে উপচে পড়ছে আবর্জনা। প্লাস্টিক, থার্মোকলের বর্জ্য ভাসছে নানা জায়গায়। রাস্তার একপাশে আবর্জনা জমতে জমতে কোথাও রাস্তার একাংশ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় এক যুবক বলেন, একটু ভিতরের দিকে যেখানে মাঠ, ধানক্ষেত রয়েছে, সেসব জায়গায় জল জমার সমস্যা না থাকলেও চাঁপাতলা, ২ নম্বর মিলগেট চত্বর সামান্য বর্ষাতেই নোংরা জলে ভাসে। এর অন্যতম কারণ নিকাশিনালাগুলি প্লাস্টিক ও আবর্জনায় প্রায় বন্ধ। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের ক্যায়কাসন খাতুন বলেন, এই প্রকল্পের জন্য এলাকার কিছু মানুষকে আমরা প্রশিক্ষণও দিয়েছি ইতিমধ্যে। কীভাবে অন্যান্য বর্জ্য থেকে প্লাস্টিককে আলাদা করতে হবে, তা কেন করা দরকার— এসব বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে মানুষকে। ব্যাটারিচালিত গাড়ি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহের পরিকাঠামোও আমরা তৈরি করে ফেলেছি। কিন্তু পূর্তদপ্তর জমি হস্তান্তর না করায় কাজ এগচ্ছে না। তিনি জানান, স্থানীয় ঝোড়হাটে এক একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে বছরখানেক আগেই। প্রকল্পের ডিপিআর বা ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্টও অনুমোদিত হয়েছে। এখন শুধু গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে জমিটি এলেই কাজ শুরু করা যাবে। এলাকার পরিবেশ, নিকাশিব্যবস্থার হাল যেমন ফিরবে, তেমনি এই প্রকল্প হলে বেশ কিছু যুবক কাজ পাবেন বলেও আশাবাদী অঞ্চল প্রধান। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক শীতল সর্দরকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ওই প্রকল্পের কথা জানি। কেন এখনও জমি হস্তান্তর হয়নি, সেই বিষয়ে তিনি শীঘ্রই পূর্তদপ্তর এবং প্রয়োজনে পূর্তমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।