পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার চন্দননগরের বাসিন্দা এক প্রাথমিক শিক্ষিকা ব্যান্ডেলের করোনা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তিনি করোনা ও অন্যান্য সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। লকডাউন পর্বের মধ্যেই তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মাও করোনায় আক্রান্ত। ফলে চন্দননগরে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। এদিন শহর স্যানিটাইজ করে চন্দননগর পুরসভা। মহকুমা শাসকের অফিসের ঘরগুলিও স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
এদিকে, এক কর্মী করোনা সংক্রামিত হওয়ার খবর মিলতেই উদ্বেগ ছড়ায় শ্রীরামপুর পুরভবনে। সংক্রমণ ছড়ানোর আতঙ্কের জেরে পুরভবন ২১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অমিয় মুখোপাধ্যায়। এদিন দুপুরেই তিনি এবিষয়ে নোটিস জারি করেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরকর বিভাগের ওই কর্মী জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবারই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরই পুরসভা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও পুরসভার আরও ছয় কর্মীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
একইভাবে এলাকায় একাধিক করোনা সংক্রামিত রোগী থাকার কারণে কানাইপুর পোস্ট অফিস মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্ট অফিস যে বাড়িতে আছে, সেখানকার এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ১০ দিন ওই পোস্ট অফিস বন্ধ থাকবে। এর আগে এক সদস্য সংক্রামিত হওয়ায় কানাইপুর পঞ্চায়েত অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৩২ জন সংক্রামিত হয়েছেন। করোনা ও অন্যান্য সমস্যায় চিকিৎসাধীন দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় সক্রিয় সংক্রামিতের সংখ্যা ৪৭৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০জন। সবমিলিয়ে জেলায় দেড় হাজারের কিছু বেশি মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন।