কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তারদের রাখার জন্য হোটেলের খোঁজ শুরু করেছিল স্বাস্থ্যদপ্তর। শহরে এই হোটেল ও গেস্ট হাউস খোঁজার দায়িত্ব পড়েছিল কলকাতা পুরসভার উপর। বিভিন্ন হোটেলে প্রায় সাতশোরও বেশি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল বলেই খবর। হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত রুম রেট। সব মিলিয়ে বকেয়ার অঙ্ক বিপুল। এই টাকা না মেটানোর ফলে মাথায় হাত পড়ছে হোটেল মালিক বা গোষ্ঠীগুলির। বকেয়া মেটানোর দাবি নিয়ে বিভিন্ন হোটেল মালিক এদিন পুরসভায় এসেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, টাকা মেটাবে পুরসভা। সেই মতো প্রতিমাসেই পুরসভার সংশ্লিষ্ট বরো অফিসে বিল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও অবধি কানাকড়িও মেলেনি।
এদিকে, এই পর্বে ডাক্তাররা প্রতিদিন হাসপাতাল-হোটেল করায় কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই কাজ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হোটেল কর্তারা। ফলে এখন কর্মীর অভাবে হোটেল চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ডাক্তাররা আছেন বলে এই সব হোটেলের অন্যান্য রুমও কাউকে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না। ফলে টান পড়েছে আয়ে। এই অবস্থায় সরকার যদি মাসের পর মাস পেমেন্ট বন্ধ রাখে, তাহলে আমাদের চলবে কী করে? কোনও হোটেলের বকেয়া দু’ লক্ষ টাকা, কেউ আবার সরকারের থেকে পাবে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। কারও আবার সব মিলিয়ে বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯০ লক্ষ টাকা। এই হিসেব জুন মাস পর্যন্ত। জুলাইয়ে তা আরও বেড়েছে।
তবে, এদিনের বৈঠকের পর কিছু রফাসূত্র বেরিয়েছে বলে খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলের ম্যানেজারের কথায়, রুমের দিনপ্রতি ভাড়া কিছু টাকা কম করে ফের নতুন বিল জমা দিতে বলা হয়েছে। হয়তো আগামী মাসের মধ্যেই টাকা মেটানো হবে, আশাবাদী তিনি। কিন্তু, বৈঠকে উপস্থিত হোটেল কর্তাদের একাংশ অবশ্য পুরসভার এই শর্তে ক্ষুব্ধ। মধ্য কলকাতার এমনই এক হোটেল কর্তার কথায়, যে সব হোটেলে রুম ভাড়া দিনে আড়াই হাজার টাকা কিংবা তার বেশি, সেখানে ৫০ শতাংশ কমাতে বলা হয়েছে। এটা কি মানা সম্ভব? যখন হোটেল নেওয়া হয়েছিল, তখন তো এমন কোনও কথা হয়নি। এখন এই আব্দার কেন? প্রয়োজনে ফের মিটিং ডাকতে হবে।
পুরসভার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব হোটেল কর্তৃপক্ষ ভাড়া কমানোর শর্তে রাজি, তাদের বকেয়া আগেভাগে মেটানো হবে। তবে, যাঁরা রাজি নন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা। তবে, কোষাগারে টান থাকায় বকেয়া মেটাতে দেরি হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।