নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিএম তৈরির সময় থেকেই যে ‘নবরত্ন’ সামনে থেকে দল পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রমোদ দাশগুপ্ত। রাজ্যের বামফ্রন্ট তৈরির প্রধান কারিগর হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছিল প্রশ্নাতীত। আমৃত্যু দলের পলিটব্যুরোর সদস্য থেকে যাওয়া সেই প্রমোদবাবুর আজ, সোমবার ১১১তম জন্মদিনটি কিন্তু এবার সেভাবে পালন করছে না দল। নেতাদের জন্মদিন পালনের রেওয়াজ দলের না থাকলেও প্রমোদবাবুর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছরই একটি স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে থাকে পার্টি। এব্যাপারে মূল দায়িত্ব পড়ে দলের কলকাতা জেলা কমিটির। করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে এবার তারা এই ধরনের কোনও সভার আয়োজন করছে না।
এমনকী, দিন কয়েক আগে প্রয়াত জ্যোতি বসুর জন্মদিনের মতো
কোনও শীর্ষস্থানীয় নেতাকে দিয়ে অনলাইনে ভার্চুয়াল বক্তৃতার ব্যবস্থাও থাকছে না আজ। স্বাভাবিকভাবে এনিয়ে দলের ভিতরেও চর্চা শুরু হয়েছে। উঠেছে প্রশ্নও।
প্রথা মেনে এবং জ্যোতিবাবুর জন্মদিনের কর্মসূচির প্রেক্ষিতে কেন এবার প্রমোদবাবুর ক্ষেত্রেও অন্তত অনলাইনে প্রকাশ্য রাজনৈতিক আলোচনাসভার আয়োজন করা হল না, তা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের কোনও জুতসই জবাব দলের কোনও শীর্ষ নেতার কাছেই পাওয়া যায়নি। তবে দলীয় সূত্রের খবর, প্রমোদবাবুর জন্মদিনকে স্মরণে রেখে ১৫ জুলাই সীমান্ত সমস্যা ও সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বক্তৃতার আয়োজন করছে দল। অন্তত জেলা নেতৃত্বের দাবি তেমনই। জানানো হয়েছে, প্রমোদ দাশগুপ্ত’র নামাঙ্কিত প্রেক্ষাগৃহে সেদিন বাছাই করা কিছু পার্টি সদস্যকে এজন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই বিতর্কের জেরে ১৫ তারিখের সেই সভার কর্মসূচি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচার করা যায় কি না, তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে নেতৃত্ব।