কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দা মেহের হুয়াংয়ের বড় আদরের কুকুর হল হুডি। লকডাউনের আগে প্রতি বিকেলেই তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতেন মালকিন। করোনা আবহে এই বেড়ানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই মার্চ থেকে। ফলে এতদিন ঘরবন্দি থাকায় তার মেজাজ সপ্তমে চড়ে ছিল। বিরক্ত করছিল বাড়ির লোকজনকে। তাই খানিকটা বাধ্য হয়েই তিনি শনিবার বাড়ির গাড়িচালককে বলেন, হুডিকে নিয়ে একটু ঘুরে আসতে। সেই মতো ওই চালক তাকে নিয়ে সোজা চলে যান মেয়ো রোডের ধারে। ফাঁকা এলাকায় নিরাপদে ঘুরতে পারবে, এই ভেবেই ওই জায়গা বেছেছিলেন তিনি।
খানিক বাদেই লক্ষ্য করেন, হুডিকে দেখা যাচ্ছে না। নজর এড়িয়ে কোন ফাঁকে সে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। চারদিক খুঁজেও দেখা মেলে না তার। অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ওই গাড়িচালক শেষ অবধি ফোন করেন মালকিনকে। হুডি হারানোর খবরে ভেঙে পড়েন তিনি। ময়দান থানায় ফোন করে তাঁর আদরের হুডিকে খুঁজে দিতে কাতর আবেদন করেন তিনি। সেই মতো পুলিস কর্মীরা শুরু করেন তল্লাশি অভিযান। ডাক পড়ে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা গ্রুপের সদস্যদের। রাতভর খুঁজেও পাওয়া যায়নি হুডিকে। এদিন সকালে শ্রীমতী হুয়াং নিজেই চলে আসেন মেয়ো রোডের ধারে ওই জায়গায়। ওখানে একটি ডোবা দেখিয়ে ওই চালক বলেন, শেষবার হুডিকে দেখা গিয়েছিল জলাশয়ের পাড়ে। পুলিস সেখানে গিয়ে নাম ধরে ডাকাডাকি করলেও দেখা দেয়নি সে। অবশেষে সকলের অনুরোধ মেনে মালকিন একবার নাম ধরে হাঁক দিতেই কচুরিপানা সরিয়ে মুখ তোলে হুডি। তারপর সবটাই ইতিহাস। কোনওভাবে ওই ডোবার ধারে গিয়ে পিছলে জলে পড়ে গিয়েছিল এই সারমেয়। তারপর কচুরিপানার জালে জড়িয়ে যায় সে।
ততক্ষণে অন্ধকার নেমে আসায় ভয়ে কুঁকড়ে গিয়ে সেখানেই চুপ করে পড়ে থাকে হুডি। হয়তো সকালের আলো ফোটার জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু এদিন সব অচেনা গলার হাঁকাহাঁকিতে জল ছেড়ে উঠে আসার ভরসা পায়নি সে। শেষ অবধি চেনা গলার এক ডাকেই মুশকিল আসান।